ইরফানের মৃত্যু কোন প্রভাব ফেলেছে পরিচালক তিগমাংশুর জীবনে?

বলিউডের প্রয়াত অভিনেতা ইরফান খানের অভাব তাড়া করে বেড়াচ্ছে পরিচালক তিগমাংশু ধুলিয়াকে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি দাবি করেছেন, নতুন অভিনেতারা ইরফানের মতো অভিনয় করতেই পারবেন না। এই ভাবনা থেকেই কোনও দৃশ্যকে মনের মতো রূপ দিতেই পারেন না তিনি।
বিজ্ঞাপন
সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিগমাংশু বলেছেন, তিনি আর ভালো চিত্রনাট্য লিখতেই পারেন না। সব সময় ইরফানের অভাব অনুভব করেন। তার লেখালিখির উপর ভীষণ ভাবে প্রভাব ফেলেছে ইরফানের মৃত্যু।
পরিচালকের কথায়, ‘ইরফান থাকলে আমি আর একটু ভাল লেখালিখি করতে পারতাম। যে কোনও জটিল দৃশ্য তৈরি করে ফেলতে পারতাম, জানতাম ইরফান ঠিক সেটাকে বাস্তবায়িত করবে। চরিত্র বা পরিস্থিতিকে জটিলতর করে ফেলতে পারতাম। এখন পারি না। এটা আমার প্রতিবন্ধকতা নয়। আমি জানি আমি লিখতে পারি, কিন্তু অভিনেতারা সেটা ফুটিয়ে তুলতে পারবেন না।’
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন
বন্ধুর মৃত্যুর পর তার লেখালিখি অনেকখানি বদলে গিয়েছে বলে স্বীকার করেছেন তিগমাংশু। তিনি বলেন, ‘শুধু লেখালিখিই নয়, ওর মৃত্যু আমার জীবনেও অনেকখানি প্রভাব ফেলেছে। ইরফান আমার বন্ধু ছিল।’
বিজ্ঞাপন
কাজের দুনিয়ায় এই প্রকৃত বন্ধুত্বের কথাও বলেছেন তিগমাংশু। তার কথায়, ‘ভালো বন্ধু থাকা খুব প্রয়োজন, কারণ এখানে তো মন খুলে কথা বলার জায়গা নেই। এখানে সকলেই কোনও না কোনও সময় দুর্বল হয়ে পড়েন। আর সেই দুর্বলতা বাইরে প্রকাশ পেলেই অন্য কেউ তার সুযোগ নেবে। কার সঙ্গে কথা বলবেন তখন? সব কথা তো স্ত্রীর পক্ষে অনুভব করাও সম্ভব নয়।’
ইরফান এবং তিগমাংশু দীর্ঘ দিনের বন্ধু। দিল্লির ন্যাশনাল স্কুল অফ ড্রামায় একসঙ্গে পড়াশোনা করেছেন তারা। তারপর সেই জুটি সমৃদ্ধ করেছে বলিউডকেও। ২০০৩ সালে তার ‘হাসিল’ ছবিতে দেখা যায় ইরফানকে। এরপর ‘পান সিংহ তোমর’, ‘সাহেব বিবি অউর গ্যাংস্টার রিটার্নস’, ‘চরস’-এর মতো ছবিতে মনে রাখার মতো অভিনয় করেছেন ইরফান।
এমআইকে