এবারের নববর্ষে আয়োজনের চমক, কি কি থাকছে জানালেন ফারুকী

সকলের অংশগ্রহণে এবারের নববর্ষের শোভাযাত্রায় নতুন মাত্রা যোগ হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
বিজ্ঞাপন
জাতীয়ভাবে বাংলা নববর্ষ এবং চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, গারো ও অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর নববর্ষ উদযাপন নিয়ে সভা শেষে রোববার (২৩ মার্চ) রাতে এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তিনি।
ঢাকা পোস্টের পাঠকদের জন্য মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর সেই স্ট্যাটাস হুবহু তুলে ধরা হলো-
বিজ্ঞাপন
‘চল্লিশ বছর ধরে কাজ করছি, এই প্রথম এরকম একটা সভায় আমন্ত্রণ পেলাম’- কথাগুলা আজকে বলতেছিলেন মাইলসের হামিন ভাই, নববর্ষ উদযাপন বিষয়ক প্রস্তুতি সভায়। ভাবা যায়?
আজকে শুধু হামিন ভাই না, অনেকের জন্যই অভিজ্ঞতাটা ছিলো নতুন। এরকম সভায় ভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর অংশগ্রহন প্রথমতো বটেই, বাঙালিদের মধ্যেও অনেক ঘরাণা থেকে কেউ প্রথম অংশ নিলো। ব্যান্ড সঙ্গীতকে অপসংস্কৃতি তকমা দিয়ে দুরে সরিয়ে রাখা হয়েছিলো আমরাতো জানিই। আবার কোনো জিনিসকে দুরে রাখা হয়েছিলো ইসলামী সংস্কৃতি তকমা দিয়ে।
বিজ্ঞাপন
আজকে সচিবালয়ের একই ঘরে ব্যান্ড, সুরের ধারা, ছায়ানট, সাইমুম, গারো, মারমা সহ অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর প্রতিনিধি বসেছিলো। আমরা খুবই আনন্দ নিয়ে ব্রেনস্টর্মিং করেছি এবং আমাদের প্রোগ্রাম নিয়ে কাজ শুরু করে দিয়েছি।
এবারের কেন্দ্রীয় শোভাযাত্রা কেবল আরো ইনক্লুসিভ হবে তা না, আরো কালারফুল, আরও মিউজিক্যাল হবে।
এছাড়া চৈত্র সংক্রান্তি উপলক্ষ্যে শিল্পকলা একাডেমীর আয়োজনে রক কনসার্ট হবে। যেখানে চাকমা, গারো, মারমা ব্যান্ডের পাশাপাশি বাংলা ভাষায় গান গায় এমন বিখ্যাত ব্যান্ডগুলা থাকবে।
বেসরকারি উদ্যোগে হবে বাউল-ফকিরি গান। আর সুরের ধারা, ছায়ানট, এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের নিয়মিত আয়োজনতো থাকছেই!
এর মধ্য বিশেষ করে বলতে চাই, সুরের ধারার কথা। তারা এবার ইনক্লুসিভ উৎসবের ডাকে সাড়া দিয়ে বাংলা গানের পাশাপাশি ভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর শিল্পীদের দিয়ে তাদের ভাষায় তাদের গান পরিবেশনের পরিকল্পনাও করেছে।
চৌদ্দ তারিখ শেষ হবে মানিক মিয়া এভিনিউতে বিকালবেলা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আর রাতে ‘জুলাই এবং নববর্ষ’ নিয়ে ড্রোন শো দিয়ে। এই শো-টা হচ্ছে চীন দূতাবাসের সহযোগিতায়।
সারাদেশে প্রতিটা জেলা-উপজেলাতেও নববর্ষ উদযাপন হবে। এর জন্য মন্ত্রণালয় বরাদ্দ দ্বিগুন করছে। যে জেলাগুলোতে ভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মানুষের বসবাস বেশী, সেখানে আমাদের বিশেষ অংশগ্রহণ এবং নজর থাকছে। আমি নিজেও বান্দরবানের বৈসাবি এবং শ্রীমঙ্গলে চা-শ্রমিকদের ফাগুয়া উৎসবে থাকছি। চলো বাংলাদেশ, এক সাথে।
এনএইচ