অরুণ রায়ের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ তারকাদের
মারা গেছেন ওপার বাংলার পরিচালক অরুণ রায়। যার সৃষ্টিতে উঠে এসেছে একের পর এক ঐতিহাসিক চরিত্র। যার পরিচালনায় নানা অজানা গল্প জানতে পেড়েছেন দর্শক। ‘হীরালাল’ থেকে ‘বাঘা যতীন’, মন ছুঁয়েছে দর্শকের।
পরিচালকের মৃত্যুতে মন খারাপ শিল্পীদের। কেউ তার সঙ্গে কাজ করে হয়ে উঠেছিলেন পরিবার। কারও আবার কোনোদিন কাজ করে ওঠা হয়নি। ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত থেকে দেব-রুক্মিণী সকলেই বলছেন, বড় তাড়াতাড়ি চলে গেলেন পরিচালক।
টলিউডের একঝাঁক পরিচালকের সঙ্গে কাজ করা হলেও, অরুণ রায়ের সঙ্গে কখনও কাজ করা হয়নি অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের। কাছ থেকে পরিচালককে না দেখলেও, সিনেমার পর্দায় তার কাজ মুগ্ধ করেছে অভিনেত্রীকে।
আরও পড়ুন
ঋতুপর্ণা বলেন, ‘আমি যদিও সরাসরি কখনও কাজ করিনি অরুণদার সঙ্গে। তবে শুনেছিলাম তিনি অসম্ভব মেধাবী একজন পরিচালক ছিলেন। শুনেছিলাম কাজ করার অসম্ভব ইচ্ছেও ছিল তার। আমরা তাঁকে হারিয়ে ফেললাম, এটা সত্যিই দুঃখের। এরকম একজন ট্যালেন্টেড অভিনেত্রী, যাঁর অনেক কিছু দেওয়ার ছিল ইন্ডাস্ট্রিকে। তাঁর প্রয়াণ মেনে নেওয়া কঠিন।’
অভিনেত্রীর কথায়, এত বছর যারা কাজ করেছেন পরিচালকের সঙ্গে, তাদের কাছে এটা অনেক বেশি যন্ত্রণার। সেটা তিনি অনুভব করতে পারছেন। তিনি বলেন, ‘বেশ কিছু অসাধারণ কাজ তিনি করে গিয়েছেন। ন্যাশনাল হিরোদের নিয়ে বলার যে একটা ক্ষমতা ছিল তার, তাদের গল্প মানুষকে জানানোর ক্ষমতা, সেই হিরোদের জীবনের নানা মুহূর্ত তুলে ধরে আমাদের সমৃদ্ধ করেছিলেন। আশা করব তাঁর কাজে আগামীতে অনেকে অনুপ্রাণিত হবেন এবং আরও ভালো কাজ করবেন। শুধু এটুকুই বলব, অরুণদা যেখানেই থাকুন, ভালো থাকুন।’
অরুণ রায় পরিচালিত ‘বাঘা যতীন’-এ দেখা গিয়েছিল দেবকে। ২০২৩ সালে এই সিনেমার শুটিংয়ের সময় প্রথম জানা যায়, ক্যানসার আক্রান্ত পরিচালক। আরজিকর হাসপাতালে একঝলক তাকে দেখার জন্য ছুটে গিয়েছিলেন দেব। এদিন টেকনিশিয়ান স্টুডিও থেকেও শববাহী গাড়িতে বসে শেষযাত্রায় পরিচালকের সঙ্গে দেখা গেল অভিনেতাকে। ভারাক্রান্ত হৃদয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ছবি পোস্ট করে দেব লিখেছেন, ‘অনেক তাড়াতাড়ি হয়ে গেলো বন্ধু। চব্বিশ ক্যারেট জি।’
এ দিন অরুণ রায়ের শেষযাত্রায় দেখা গেল রুক্মিণী মৈত্রকেও। অরুণ রায় ছিলেন অভিনেত্রীর কাছে শিক্ষকের মতো। তাকে ‘হিরো’ বলে ডাকতেন। অভিনেত্রী লিখলেন, ‘আমি তোমায় সবসময় ভালোবাসব হিরো। তুমি হিরোর মতো লড়াই করেছো। সবক’টা কথা রাখব অরুণদা। কথা দিলাম। সত্যি বলি, না ছেড়ে গেলেই পাড়তে। অনেক ভালোবাসা তোমায়।’
এমআইকে