কনসার্টে নেচে সমালোচনার মুখে জেফার, ভিডিও ভাইরাল
গান দিয়ে পরিচিত হলেও শোবিজ অঙ্গনে নিজের একাধিক প্রতিভা দেখিয়েছেন জেফার রহমান। কখনও মডেল, উপস্থাপনা আবার কখনও পর্দায়ও মেলে ধরেছেন নিজেকে। গেল ঈদেই অভিনয় জীবনে অভিষেক ঘটে জেফারের। সে থেকে তার অভিনয়ও বেশ প্রশংসিত হয়েছে।
জেফারের ফ্যাশন স্টেটমেন্টে এখন অনেকটা পরিবর্তন আসলেও একটা সময় সাজ-আশাক নিয়ে বহু সমালোচনার মুখে পড়েছেন তিনি। আবার চলতি বছরের শুরুর দিকে তার গাওয়া স্পাইসি গান প্রকাশ করার পর আবার আলোচনায় আসেন এই শিল্পী।
যদিও গান নিয়ে তুলনামূলক কম সমালোচনার মুখেই পড়েছেন জেফার। কিন্তু হঠাৎ সামাজিক মাধ্যমে জেফারের কিছু লাইভ পারফর্মেন্স ছড়িয়ে পড়তে আবারও শুরু হয় সমালোচনা। নেটিজেনদের দাবি, গানের চেয়ে এখন স্টেজে নেচেই দর্শকদের বিনোদন দিচ্ছেন জেফার! শুধু তাই নয়, লাইভ কিংবা কনসার্টে জেফারের গায়কীতে অদক্ষতা রয়েছে বলেও তুলে ধরেছেন। কেউ কেউ তো সরাসরি ‘অটোটিউন গায়িকা’ বলেও কটাক্ষ ছুড়েছেন মন্তব্য ঘরে।
আরও পড়ুন
রাজধানীতে সদ্য অনুষ্ঠিত হওয়া ‘সবার আগে বাংলাদেশ’ কনসার্টে ‘ঝুমুর’ গান পরিবেশন করেন জেফার। সেই পারফর্মেন্স এর আংশিক কিছু ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়। তাতে দেখা যায়, সাউন্ডবক্সে ‘ঝুমুর’ এর মূল গান চালিয়ে নাচের ভঙ্গিতে শরীর নাড়াচ্ছেন জেফার, তার সঙ্গে গলা মেলাচ্ছেন গায়িকা। আর তাতে নানান প্রতিক্রিয়া আসতে থাকে নেটিজেনদের কাছ থেকে।
এক নেটিজেন প্রশ্ন ছুড়েছেন, ‘সাউন্ড বক্সে গান বাজিয়ে যদি কনসার্টে গানই শোনাতে হয় তাহলে জেফারকে আনা হয়েছে শুধু নাচ দেখানোর জন্যই?’। আবার সেই ভিডিওতে খানিকটা বেতালে, বেসুরেও গাইতে শোনা যায় জেফারকে। সে বিষয়টি তুলে আরেক নেটিজেন মন্তব্য করেছেন, ‘অটো টিউন শিল্পীরা লাইভে এমনই গাইবে।’। প্রায় একই মন্তব্য আরও একজনও লিখেছেন, ‘আমার জানা মতে লাইভ কনসার্টে অটো টিউন নাই তাই আর কি ব্যাকগ্রাউন্ডে থেকে সাউন্ড দিয়েছে। কারণ বাস্তব গলা আর অটোটিউন পার্থক্যটা অনেক।’
উল্লেখ্য, জেফার রহমান বাংলাদেশি প্রথম ইউটিউবভিত্তিক মিউজিশিয়ান। তরুণ প্রজন্মের কাছে সংগীতশিল্পী হিসেবে বেশ পরিচিত। ২০১০ সাল থেকে বিখ্যাত সব ইংরেজি গান কাভার করে শোরগোল ফেলে দেওয়া জেফার ধীরে ধীরে পৌঁছে গেছেন জনপ্রিয়তার শিখরে। বর্তমানে স্টেজ শো মানেই জেফারের গান। পাশাপাশি নিজে গান লেখেন ও সুর করেন। এছাড়া প্রযোজকও তিনি।
ডিএ