মনে হচ্ছে, সবাই এখন দেশটাকে খুবলে খাবে : ইলিয়াস কাঞ্চন
অন্তবর্তীকালীন সরকার ফেল করলে আমাদের স্বপ্ন ধূলিসাৎ হয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন দেশের স্বনামধন্য চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন। সোমবার (২৫ নভেম্বর) রাতে এক ফেসবুক লাইভে এসে এমনটা মন্তব্য করেন তিনি।
যেখানে ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ‘আমরা তো শুরু থেকেই বলে আসছি, এই সরকারকে ফেল করানো যাবে না। এই সরকার ফেল মানে আমাদেরও ফেল। আমাদের স্বপ্ন ধূলিসাৎ হয়ে যাবে। এত রক্ত, বহু মানুষ এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এসবই তো বৃথা যাবে, যদি সরকার ফেল করে।’
আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে এই নায়ক বলেন, ‘মানুষ জানতে পারছে ছাত্ররাও জানতে পারছে; কিন্তু গোয়েন্দা সংস্থাগুলো কেন বিষয়গুলো আগে থেকে জানতে পারছে না? সঙ্গে সঙ্গে গিয়ে এ জিনিসগুলো কেন থামানো হচ্ছে না? আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তো দেখছি ছাত্রদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ দাঁড়িয়ে দেখে, এটা হলো কীভাবে? এভাবে তো এটা বন্ধ করা যাবে না।’
কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ার ঘটনা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ছাত্রদের এক কলেজ থেকে আরেক কলেজে গিয়ে মারামারির যে ঘটনা ঘটল, ভাঙচুর করে যে উল্লাস তাদেরকে করতে দেখেছি, এদেরকে যদি কড়া শাসন না করা হয় তাহলে তো থামবে না।’
আরও পড়ুন
এসময় সরকারের উদ্দেশ্য করে ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ‘যারা অযোগ্য আছে, তাদের সরিয়ে দেওয়াই হবে উচিত সিদ্ধান্ত। তাদের বদলে নতুন লোক নেন। দুই সমন্বয়ক যারা উপদেষ্টা হিসেবে আছেন, তারাই তো সব ঠিকঠাক করছেন। তারা তো ঘুমাতেও পারছেন না। সব কাজ তো তাদেরকেই করতে দেখি, বাকিরা কই? তাদের তো কোনো কথাই দেখি না।’
এসময় হতাশা প্রকাশ করে দেশবাসীর উদ্দেশে ‘নিরাপদ সড়ক চাই’-এর প্রতিষ্ঠাতা ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ‘আমার দেশ এবং দেশের মানুষ, আপনাদের নিয়ে আমি খুবই চিন্তিত। আপনারা জানেন, নিজের জন্য কিছু আমি বলি না। জীবনে দেশ ছেড়ে গেলাম না কোথাও। ৩২ বছর ধরে একটা মুভমেন্ট নিয়ে আপনাদের সঙ্গে আছি, সেই জায়গাটাতেও এখনো কিছু করতে পারলাম না। সেখানেও কোনো রিফর্ম নাই, কিচ্ছু নাই। চাঁদাবাজি তো আগের মতোই চলছে, অনিয়ম হচ্ছে- সবকিছুই হচ্ছে। এই যে ব্যাটারিচালিত রিকশাওয়ালারা দেখেন এখন কী বলছে! মনে হচ্ছে, সবাই এখন দেশটারে খুবলে খাবে। কারো কোনো ধরনের দরদ আমি দেশের প্রতি দেখি না। দেশটা চলবে কীভাবে, আমি তো এটা বুঝতেছি না।’
এসব থেকে পরিত্রাণ পেতে বর্তমান সরকারকে আরো কঠোর হওয়ার আহ্বান জানিয়ে লাইভটি শেষ করেন এই নায়ক।
এনএইচ