শরীরের কোনো অংশে পরিবর্তন করা দোষের কিছু নয় : কৃতি
সম্প্রতি ফিল্মফেয়ারকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মেয়েদের বোটক্স, কসমেটিক সার্জারি এবং নিজেকে সুন্দর দেখানোর চাপ নিয়ে কথা বলেছেন অভিনেত্রী কৃতি শ্যানন। যেখানে তিনি তরুণীদের ওপর প্রসাধনী চিকিৎসার প্রভাব সম্পর্কে মন্তব্য করেছেন।
কৃতি বলেন, ভালো দেখানোর ক্রমাগত চাপ এবং সমালোচনা এড়াতে তিনি সচেতনভাবে এমন লোকদের সঙ্গে নিজেকে জড়ান না, যারা তাকে নিরাপত্তাহীনতায় ফেলে। যদিও অভিনেত্রী জানেন যে তরুণ এবং বৃদ্ধ উভয়ই বর্তমানে বোটক্স করাচ্ছেন।
অভিনেত্রী বলেন, ‘বর্তমান সময়ে অনেকেই বোটক্স ট্রিটমেন্ট নিচ্ছে। আমি মনে করি, প্রত্যেকের নিজস্বতা রয়েছে। আপনি যদি মনে করেন, নিজের কিছু অংশ পরিবর্তন করবেন, আর তাতে আপনি আরও আত্মবিশ্বাসী হন সেটা দোষের কিছু নয়।’
অভিনেত্রী আরও বলেন, ‘এটা আপনার সিদ্ধান্ত। আপনার জীবন, আপনার শরীর, আপনার মুখ। আপনার যা ইচ্ছে তাই করতে পারেন। এটার প্রতি কারো কোনো বিচার করা উচিত নয়।’
আরও পড়ুন
তবে অল্পবয়সী মেয়েদের ওপর এর প্রভাব যে পড়েছে তা স্বীকার করেন কৃতি। তিনি বলেন, ‘আমি চাই না অল্প বয়সী মেয়েরা সব সময় নিখুঁত না হওয়ার চাপ অনুভব করুক। কেউ সবসময় নিখুঁত হয় না। আমাকেও সব সময় নিখুঁত দেখায় না। আমার এমন দিন গিয়েছে, যখন আমি জেগে উঠেছি এবং আমার চোখ ছোট দেখাচ্ছিল। আপনি কখনও এমন কোনও ফটো রাখছেন যাতে ফিল্টার নেই? সুতরাং আপনাকে মেনে নিতে হবে, ‘আমাকে এরকম দেখতে নয়’।
সম্প্রতি আলিয়া ভাটকে নিয়ে গুজব ছড়ায়, তিনি বোটক্সের কাজ করে চেহারায় আমুল পরিবর্তন এনেছেন। এরপরই কসমেটিক সার্জারি নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েন কৃতি। অভিনেত্রী এই সার্জারিকে দোষের কিছু দেখছেন না।
এনএইচ