অরুণা বিশ্বাসকে ‘অমানুষ’ বললেন মাহিয়া মাহি
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর ‘গরম পানি ঢালা’র পরামর্শ দেওয়া অভিনেত্রী অরুণা বিশ্বাসকে ‘অমানুষ’ বলে সম্বোধন করেছেন ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি।
গেল জুলাইয়ে আন্দোলন চলাকালীন ‘আলো আসবেই’ শিরোনামে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে ছাত্রদের দমাতে নিজেদের বিভিন্ন পরিকল্পনা নিয়ে আলাপচারিতা করেন শোবিজ অঙ্গনের আওয়ামীপন্থী কিছু অভিনয়শিল্পী ও সাংবাদিক।
যেখানে অভিনেত্রী জ্যোতিকা জ্যোতির একটি তথ্যের জবাব দিতে গিয়ে অরুণা পরামর্শ দেন আন্দোলনকারীদের গায়ে ‘গরম জল’ ঢেলে দেওয়ার!
সম্প্রতি অরুণা-জ্যোতিসহ সেই গ্রুপের বাকি সদস্যেদের কথোপকথনের স্ক্রিনশট ফাঁস হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। যেখানে উঠে এসেছে আওয়ামীপন্থী শিল্পীদের একের পর এক ভয়ংকর চিত্র।
বিশেষ করে আন্দোলনকারীদের প্রতি চরম ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায় অভিনেত্রী অরুণা বিশ্বাসকে। একটি মেসেজে তাকে বলতে শোনা যায়, যারা আন্দোলন করছেন তাদের শরীরে গরম জল ঢেলে দিলেই হবে।
আরও পড়ুন
তার এমন মেসেজ প্রকাশ্যে আসার সহশিল্পীর প্রতি ঘৃণা জানিয়েছেন নায়িকা মাহিয়া মাহি। বুধবার সকালে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে অরুণা বিশ্বাসের সেই মেসেজের স্ক্রিনশট শেয়ার করে অভিনেত্রীকে ‘অমানুষ’ সম্বোধন করেছেন তিনি।
শুধু মাহিই নয়, একই স্ক্রিনশট শেয়ার করে তার প্রতি ধিক্কার জানিয়েছেন নায়িকা পরীমণি। সামাজিক মাধ্যমে অরুণাকে উদ্দেশ্য করে তিনি লেখেন, ‘অমানুষ! হিংস্র! লোভী! এত হিংসা নিয়ে কখনই শিল্পী পরিচয় বহন করতে পারেন না আপনি। ধিক আপনাকে। থু..।’
অন্যদিকে ওই গ্রুপে আন্দোলনে সমর্থন জানিয়ে প্রোফাইল ‘লাল’ করায় এক সংগীতশিল্পীকে নিয়ে অরুণা বিশ্বাস লেখেন, ‘বয়স যদি কম থাকত পিটাইতে পিটাইতে বাবা ডাক শিখাইতাম।’
তার এই আলাপচারিতার অংশ প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই অরুণা বিশ্বাসের শাস্তি দাবি করেছেন সহশিল্পী থেকে শুরু করে ভক্তরা। অনেকেই তার খোঁজ জানতে চেয়েছেন।
এ বিষয়ে বর্তমানে কানাডায় অবস্থান করা ঢাকাই সিনেমার এক চিত্রনায়ক ঢাকা পোস্টকে জানান, অরুণা বিশ্বাস বর্তমানে কানাডাতে অবস্থান করছেন। শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পরপরই সুযোগ বুঝে আগস্টের শেষদিকে দেশত্যাগ করে এখানে চলে এসেছেন তিনি।
এর আগেও কানাডায় ছিলেন অরুণা বিশ্বাস। সরকার পতনের পর নিজের কৃতিকর্মের পরিস্থিতি আঁচ করতে পেরেই দেশত্যাগ করেছেন এই অভিনেত্রী।
প্রসঙ্গত, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে লড়াই চালানোর লক্ষ্যে তৎকালীন তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত এবং সংসদ সদস্য ফেরদৌসের নেতৃত্বে ‘আলো আসবেই’ নামের ওই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খোলা হয়।
যেখানে ছিলেন- সোহানা সাবা, জ্যোতিকা জ্যোতি, অরুণা বিশ্বাস, রিয়াজ আহমেদ, সুবর্ণা মুস্তাফা, আজিজুল হাকিম, স্বাগতা, বদরুল আনাম সৌদ, শমী কায়সার, তানভীন সুইটি, আশনা হাবীব ভাবনা, শামীমা তুষ্টি, জামশেদ শামীম, ঊর্মিলা শ্রাবন্তী কর, সাজু খাদেম, হৃদি হক, ফজলুর রহমান বাবু, দীপান্বিতা মার্টিন, সাইমন সাদিক, জায়েদ খান, লিয়াকত আলী লাকী, নূনা আফরোজ, রোকেয়া প্রাচী, রওনক হাসান, আহসানুল হক মিনু, গুলজার, এস এ হক অলীকসহ অনেকে।
এনএইচ