অভিনেতা স্বামীর প্রতারণার অভিযোগ, আইনি পদক্ষেপ নেবেন স্ত্রী
স্ত্রীর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ এনেছেন কলকাতার ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা ঋষি কৌশিক। ২০১২ সালে টেলিভিশনের এই হার্টথ্রব নায়ক বিয়ে করেছিলেন মনের মানুষ দেবযানীকে। গত ১২ বছরেও এই দম্পতির সংসারে জন্ম নেয়নি কোনো সন্তান।
ফলপ্রসু সম্প্রতি স্ত্র্রীর বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ তুলেছেন তিনি। যেখানে ঋষি দাবি করেছেন, বউয়ের হাতে নির্যাতিত হচ্ছেন বহু বছর ধরেই। এছাড়াও দেবযানীর বেপরোয়া জীবনযাপন নিয়েও বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন এই অভিনেতা। যেখানে ঋষি জানিয়েছেন, নিজেকে বদলে ফেলার আশ্বাস দিলেও সেটা করেনি স্ত্রী। প্রতিনিয়ত তাকে ঠকিয়েছেন।
এক ফেসবুক ভিডিওতে কারও নাম না নিয়ে ঋষি জানতে চান, আধুনিক নারী ঠিক কাকে বলে? অভিনেতা বলেন, ‘১২ বছর আগে একটি ছেলে ও মেয়ের বিয়ে হয়। যদিও মেয়েটি ও ছেলেটির জীবনযাত্রা একেবারেই আলাদা। তা বুঝতে পেরেই নাকি মেয়েটিকে বিয়ে করতে চাননি সেই ছেলে। কিন্তু নিজেকে বদলে ফেলার আশ্বাস দেন মেয়েটি। এই মর্মেই মেয়েটিকে বিয়ে করতে রাজি হন সেই ছেলে। তবে বিয়ের পর থেকে নিজেকে বিন্দুমাত্র বদলাননি তিনি, বরং তা ক্রমশ বেড়েছে।’
অভিনেতা আরও জানান, ‘মেয়েটি বড় তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় কর্মরত। এর সঙ্গে ছেলেটির পেশার সঙ্গেও টুকটাক যুক্ত। তিনি তার স্বামীকে কথায় কথায় চাকরির খোঁটা দেন। স্বামীর উপর চলে নজরদারি।’
ঋষি সেই মেয়ের বেপরোয়া জীবন নিয়ে আরও বললেন, ‘ধূমপান, মদ্যপান, রাত্রে পুরুষ বন্ধুদের সঙ্গে পার্টি, একেই কি বলে আধুনিক নারী?’
আরও পড়ুন
সংসারে শান্তি টিকিয়ে রাখতে এবং সম্পর্ক না ভাঙতে চেয়ে সেই মধ্যবিত্ত মানসিকতার ছেলেটি নাকি এতদিন সব সহ্য করেছে। একটা সময় পরিস্থিতি বেগতিক দেখে নিজের জীবন পর্যন্ত শেষ করতে চেয়েছে, তাতেও মেয়েটির কোনও পরিবর্তন নেই। বরং এখন সে আরও বেপরোয়া এবং উশৃঙ্খল জীবনে মেতে উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে ওই ছেলেটির কী করণীয়?
এদিকে অভিনেতা স্বামীর এমন মন্তব্যের পর মুখ খুলেছেন দেবযানী। আনন্দবাজার পত্রিকায় তিনি লিখেছেন, বিগত কয়েক দিন যাবত সামাজিক মাধ্যমে আমার স্বামীর কিছু পোস্ট নিয়ে আমাকে বারবার অবাঞ্ছিত প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। পুরো বিষয়টি আমার কাছে অত্যন্ত কুরুচিকর, সম্মানহানিকর এবং আমি খুবই বিব্রত।
এ বিষয়ে প্রথমেই আমি স্পষ্ট করে দিতে চাই যে, আমার বিরুদ্ধে যা যা অভিযোগ করা হয়েছে তার প্রত্যেকটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, অসৎ উদ্দেশ্য প্রণোদিত, অন্যায্য এবং কাল্পনিক। এগুলো করার একমাত্র কারণ আমার সামাজিক সম্মানহানি করা, আমার ক্ষতি করা এবং পোস্টদাতার নিজের নীচ উদ্দেশ্যসাধন করা।
দেশের আইনের প্রতি আস্থা রাখা কোনও ভদ্র মানুষের যদি আদৌ এ ধরনের কোনও অভিযোগ থাকে, ত হলে সেই সমস্যার সমাধানে কোর্টে যাবেন তিনি। ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে জনগণের মতামত নিতে যাবেন না!
যা ঘটানো হচ্ছে তা গর্হিত অপরাধ। আমার ওপর দীর্ঘ দিন ধরে যে ধারাবাহিক অত্যাচার আর নিষ্ঠুরতা করে গেছে, তার আরও একটি অধ্যায় এটি। আমার ধৈর্য আর সহনশীলতার অন্যায় সুযোগ নেওয়া হচ্ছে। আমার উপর চাপ সৃষ্টি করে, তার অন্যায় দাবিগুলি যেন মেনে নেই সেই মরিয়া প্রয়াস চলছে।
পুরো বিষয়টি নিয়ে আমি আইনি পরামর্শ নিচ্ছি। এ বিষয়ে বিশদে বলার অবস্থায় নেই। শুধু এটুকু জানাই, আমি আমার আইনি পরামর্শদাতাদের সঙ্গে পুরো বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করছি এবং খুব শিগগিরই প্রয়োজনীয় সকল আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে চলেছি।
এনএইচ