‘জয় বাংলা’ কনসার্ট বয়কট করলেন সংগীত শিল্পী সিনা হাসান
কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে উত্তাল সারাদেশ। এক দফা এক দাবিতে রাজপথে শিক্ষার্থীরা। তাই তো জীবন বাজি রেখে কোটা সংস্কার চেয়ে রাস্তায় নেমেছে তারা। চলমান এই ইস্যুতে বেশ সরব দেশের শোবিজ অঙ্গন। কোটা সংস্কার চেয়ে আন্দোলনরতদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন করেছেন চলচ্চিত্রশিল্পী, অভিনেতা-অভিনেত্রীসহ ইউটিউবার ইনফ্লুয়েন্সারাসহ সংগীত শিল্পীরা।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সংগীত শিল্পী সিনা হাসান এক পোস্ট করে ‘জয় বাংলা’ কনসার্ট বয়কট করেছেন। ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, ‘একজন শিল্পী হিসেবে আমি ‘জয় বাংলা’ কনসার্ট বয়কট করলাম। এই ঠ্যাং চাটা তোষামোদকারী 'ছেলেভুলানো' কনসার্টে আমাকে শিল্পী বা দর্শক কোন হিসেবেই যেনো কখনই ডাকা না হয়।’
ক্যাপশনের শেষাংশ তার ভাষ্য, ‘আর আমার ব্যান্ডের অন্য মেম্বাররা যদি এটা না মানে তাইলে বাংলা ফাইভ ত্যাগ করতেও কুন্ঠাবোধ করবো না, যদিও আমার ব্যান্ডমেটদের সেই সম্ভাবনা আদৌ নাই।’
এ পোস্টে ভক্ত-অনুরাগীরে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন। কমেন্ট বক্সে আহমেদ নাফি নামে একজন লিখেছেন, ভাই সময়ের সাহসী সীদ্ধান্তটা নিলেন। বুকে আসেন ভাই আপনার এই প্রতিবাদ, গুলি খেয়ে শহীদ ছাত্র বা আহত ছাত্রদের পক্ষে শক্তি হিসাবে কাজ করবে আশা করছি আপনার থেকে দেখে অন্যরাও শিখবে, কৃতজ্ঞতা।
আরও পড়ুন
সায়েদ সিনহা নামে আরেকজনের ভাষ্য, ‘ভাই ‘জয় বাংলা’ কনসার্ট না যাওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত আমরা ব্যান্ড হিসেবে বহু আগেই নিছি। ফ্যাসিস্টদের কোন আয়োজনের সাথে আমরা নাই, থাকবো না। অভিনন্দন এবং শ্রদ্ধা।’
প্রসঙ্গত, চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলন মঙ্গলবার বেশ সহিংস রূপ নেয়। বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষে ছয়জন মারা গেছেন। আহত হয়েছেন কয়েকশ আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মী। এ অবস্থায় শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা বিবেচনায় সারা দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং অধিভুক্ত কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধের নির্দেশনা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। একইসঙ্গে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ও তাদের সব কলেজ বন্ধ ঘোষণা করেছে।
গত রোববার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোটা প্রসঙ্গে কথা বলার সময় মন্তব্য করেন ‘মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে এত ক্ষোভ কেন? মুক্তিযোদ্ধার নাতিপুতিরা কিছুই পাবে না, রাজাকারের নাতিপুতিরা সব পাবে?’ প্রধানমন্ত্রীর এ মন্তব্যে ক্ষিপ্ত হন কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা। তারা ধরে নিয়েছেন ‘রাজাকারের নাতিপুতি’ তাদেরকেই বলা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য প্রত্যাহারের দাবিতে এবং কোটা সংস্কারের এক দফা দাবিতে রোববার মধ্যরাত থেকে আন্দোলনে নামেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।
এমআইকে/