আমাকে মুকিত জাকারীয়া বানিয়েছেন ফারুকী ভাই
নাটক, টেলিফিল্ম, বিজ্ঞাপনচিত্র, সিনেমা কিংবা ওয়েব সিরিজ সব মাধ্যমেই নিজের অভিনয় দক্ষতার প্রমাণ রেখেছেন মুকিত জাকারীয়া। ২০০৮ সালে শরাফ আহমেদ জীবনের ‘শাড়ি’র মাধ্যমে নাটকে অভিষেক তার। এরপর গত ১৩ বছরে ৭৫০টিরও বেশি নাটকে অভিনয় করেছেন বলে ঢাকা পোস্টকে জানিয়েছেন জনপ্রিয় এই অভিনেতা।
এবারের ঈদ হতে যাচ্ছে মুকিত জাকারীয়ার জন্য আরও বিশেষ। এই ঈদে বিভিন্ন টেলিভিশন ও ইউটিউব চ্যানেলে সাত পর্ব এবং খণ্ড নাটক মিলিয়ে ৩০টিরও বেশি নাটকে দেখা যাবে এই অভিনেতাকে। এরইমধ্যে রয়েছে সাগর জাহানের পরিচালনায় ‘শেফালীর প্রেমিকেরা’সহ তিনটি সাত পর্বের ধারাবাহিক, ডি এস চঞ্চলের পরিচালনায় ছয় পর্বের ধারাবাহিক ‘লটারি’, মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর পরিচালনায় একটি ফিকশন, ইফতেখার আহমেদ ফাহমির আরেকটি ফিকশন।
এছাড়া ঈদে সোহেল আরমান, মোস্তফা কামাল রাজ, সাগর জাহান, প্রীতি দত্ত, নাজমুল রনি, শহীদ উন নবী (তিনটি নাটক), কামরুল হাসান ফুয়াদ, মনসুরুল আলম নির্ঝর’সহ আরও বেশ কয়েকজন পরিচালকের পরিচালনায় ৩০টির বেশি খণ্ড নাটকে দেখা যাবে মুকিতকে।
মুকিত জাকারীয়া বলেন, ‘ঈদের প্রত্যেকটি নাটকেই আমাকে ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে দেখা যাবে। আমার কাছে মনে হয় অভিনয় করতে গিয়ে প্রত্যেক পরিচালকের কাছ থেকেই নতুন কিছু না কিছু শিখছি। প্রত্যেক নাটকেই চরিত্রানুযায়ী নিজেকে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি। আশাকরি দর্শক কাজগুলো পছন্দ করবেন।’
অভিনেতা হিসেবে এতদূর আসার পেছনে দেশের নন্দিত নির্মাতাকে মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর অবদানকেই সবচেয়ে বড় করে দেখছেন এই অভিনেতা, ‘অভিনেতা হিসেবে মানুষ আমাকে যতটুকু চিনেছে, যতটুকু ভালোবাসা পেয়েছি তার পুরো কৃতিত্ব ফারুকী ভাইয়ের। তিনিই আমাকে মুকিত জাকারীয়া বানিয়েছেন। আমি যদি ১০০টা বিজ্ঞাপনচিত্রে কাজ করে থাকি ৮০টাই ফারুকী ভাইয়ের। তার পরিচালনায় নাটকে অভিনয় করেছি। সিনেমাতেও তিনিই আমাকে প্রথম সুযোগ দিয়েছিলেন।’
ফারুকীর পরিচালনাতেই মুকিত জাকারীয়ার প্রথম ‘টেলিভিশন’ সিনেমায় অভিনয় করেন। এরপর ফারুকীর ‘পিঁপড়াবিদ্যা’সহ বিভিন্ন নির্মাতার আরও ডজনখানেক সিনেমায় কাজ করেছেন তিনি। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য-‘গেম’, ‘ছেলেটি আবোল তাবোল মেয়েটি পাগল পাগল’, ‘আবার বসন্ত’, ‘নীল ফড়িং’ প্রভৃতি।
মুকিত জাকারীয়া শোবিজের যে মাধ্যমে কাজ করেছেন যেখানেই পেয়েছেন সাফল্য। তার করা অনেক বিজ্ঞাপনই পেয়েছে জনপ্রিয়তা। এখানে ওখানে আড্ডায় কিংবা কোথাও গেলে বিজ্ঞাপনে নিজে দেওয়া ডায়লগগুলো শুনে আনন্দ পান এই অভিনেতা।
গুণী এই অভিনেতার জন্ম নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ থানার হাজীপুর গ্রামে। মিয়া বাড়ির ছেলে মুকিতের বাবা প্রয়াত ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল মান্নান ও মা তাহমিনা খাতুন। অভিনয়ের জগতে নিজেকে আরও বহুদূর নিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন তার।
আরআইজে