কবে আসছে চঞ্চলের ‘পদাতিক’, জানালেন সৃজিত
মুক্তির আগেই সৃজিত মুখার্জির ‘পদাতিক’ সিনেমা নিউ ইয়র্ক চলচ্চিত্র উৎসবে জিতে নিয়েছে সেরার সম্মান। পরিচালকের হাতে উঠে এসেছে সেরা স্ক্রিনপ্লের পুরস্কার। ট্রেলারও দেখেও আপ্লুত সিনেপ্রেমিরা। তবে অধীর আগ্রহে সবাই বসে ছিলেন এই ছবির মুক্তির তারিখ জানার জন্য।
অবশেষে অপেক্ষার অবসান হয়েছে, প্রকাশ্যে এসেছে ‘পদাতিক’ ছবির মুক্তির তারিখ। আগামী ১৫ আগস্ট মুক্তি পাচ্ছে সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের তৈরি মৃণাল সেনের বায়োপিক ‘পদাতিক’। এই ছবিতে মৃণাল সেনের চরিত্রে দেখা যাবে চঞ্চল চৌধুরীকে।
এই ছবি প্রসঙ্গে অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরীর জানিয়েছেন, মৃণাল সেনের চরিত্রে অভিনয় করাটা একটা দুঃসাহসিক ব্যাপার। এই চরিত্রে অভিনয় করার জন্য সাহস থাকতে হয়। সেই সাহসটি আমার আছে কিনা এবং সেই সঙ্গে যোগ্যতা, আমার আছে কিনা সেটা বলার আগে, একজন তৃতীয় ব্যক্তি হয়ে বিষয়টা চিন্তা করলে আমার তো অবিশ্বাস্য লাগছে। তবুও দুঃসাহস নিয়ে, কাজের প্রতি একটা লোভ, স্বপ্ন থাকার কারণে এই কাজটি করা। তার উপর সৃজিত মুখার্জির সঙ্গে কাজ করা। তার যতগুলো কাজ দেখেছি। তা দেখে সৃজিতের সঙ্গে কাজ করার ইচ্ছা ছিল।
চঞ্চল বলেন, মৃণাল সেন চলচ্চিত্র জগতের একজন দিকপাল। শ্রেষ্ঠতম একজন পরিচালকের চরিত্রে অভিনয় করা মানে একটা ইতিহাসের অংশ হয়ে থাকা। ভালো-মন্দ এটা পরের বিষয়।
চঞ্চল চৌধুরী আরও জানান, সৃজিতের সঙ্গে আরও আগে কাজ করার কথা ছিল। কোভিডের সময় একটা কাজ নিয়ে কথাও এগিয়ে ছিল। সৃজিতের ওয়েব সিরিজ রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেননিতে আমার কাজ করার কথা ছিল। কিন্তু করোনাকালে ছবিটির শুটিং বাংলাদেশে না হওয়ায়, তা আর হলো না। তবে শেষমেশ পদাতিক ছবির হাত ধরে সৃজিতের সঙ্গে কাজ করা সম্ভব হলো।
তিনি আরও জানালেন, কলকাতার দর্শকরা আমার কাজ দেখতে চাইছেন। কলকাতার মানুষ আমাকে ভালোবাসেন। সেখানকার কলাকুশলী, শিল্পীরা চাইছেন আমি কলকাতায় কাজ করি। এটা আমার জন্য খুবই সৌভাগ্যের ব্যাপার। সেটা সৃজিতের হাত ধরেই শুরু হচ্ছে। আশা করি ব্যাপারটা খুবই চমৎকার হবে।
কীভাবে ছবির মৃণাল সেন হয়ে উঠছেন চঞ্চল? প্রশ্নের উত্তরে চঞ্চল জানিয়ে ছিলেন, আমাকে কিছু বইপত্র দেওয়া হয়েছে, কিছু ভিডিও দেওয়া হয়েছে। সেটা তো একটা ব্যাপার। কিন্তু মানুষটার ভিতরটা, মানুষটার দৃঢ়তা, মানুষটার অন্তরটা তো দেখা যায় না। এই বিষয়গুলো আসলে অনুভব করতে হয়। তার ছবির বক্তব্য, ছবি তৈরির উদ্দেশ্য সবগুলো বুঝে নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। কঠিন কাজ, সময়সাপেক্ষ কাজ। আমার এখানেই একটু অতৃপ্তি রয়েছে, আরও বেশি সময় ধরে তাকে বুঝতে হত। আরও বেশি সময় দরকার ছিল। আমি আসলে একটা চ্য়ালেঞ্জ নিয়েছি। নিজের দিক থেকে একশো শতাংশ চেষ্টা করব। মৃণাল সেন হয়ে ওঠার জন্য
এমএসএ