ছেলের আবদারে আর্জেন্টিনার খেলা দেখলেন ব্রাজিল ভক্ত সাব্বির
সুদূর আমেরিকায় আয়োজিত কোপা আমেরিকা টুর্নামেন্টের আসরে যোগ দিয়েছেন দেশের শোবিজ তারকারা। মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সির মেটলাইফ স্টেডিয়ামে আর্জেন্টিনা-চিলির ম্যাচ দেখতে উপস্থিত ছিলেন অভিনেতা মীর সাব্বির। ছেলেদেরকে নিয়ে আর্জেন্টিনার পক্ষ নিয়ে খেলা উপভোগ করলেন তিনি। এরপর বুধবার এক গণমাধ্যমে নিজের খেলা দেখার অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন এই অভিনয়শিল্পী।
কিন্তু অভিনেতা সাব্বির একজন ব্রাজিল ভক্ত। জানান, নিজে ব্রাজিল ভক্ত হয়েও আর্জেন্টিনার খেলা দেখতে গেছেন তিনি। ছেলেদের শখ পূরণ করতেই নাকি অভিনেতার এমন চেষ্টা। যদিও ম্যাচটি উপভোগ করেছেন সাব্বির। কারণ, ব্রাজিলের ফ্যান হলেও মেসিকে ভালোবাসেন এই অভিনেতা।
এরই মধ্যে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক কোনো ফুটবল ম্যাচ দেখার অভিজ্ঞতাও নিয়ে নিলেন এই অভিনেতা-পরিচালক।
মেসির খেলা দেখাটা আজীবনের জন্য স্মরণীয় একটা অভিজ্ঞতা উল্লেখ করে সাব্বির বলেন, ‘মেসির খেলা মানে হচ্ছে আমার কাছে একটা শৈল্পিক ব্যাপার। ফুটবলের তিনি শিল্পী, মহানায়ক। আজীবনের জন্য একটা অভিজ্ঞতা হয়ে রইলো।’
মীর সাব্বির বলেন, ‘আজকেই অনেকের কাছে শুনলাম, জানি না কতটা সত্যি, মেসি নাকি খুব তাড়াতাড়ি অবসরে চলে যাবেন। সম্ভবত, এই টুর্নামেন্টটাই ওর শেষ ম্যাচ হতে পারে। আমিও আর এই জীবনে মেসির খেলা দেখতে পারব কি না, জানি না। ২০২৬ মেসি বিশ্বকাপে খেলবে কি না, যথেষ্ট সন্দেহ আছে।’
আরও পড়ুন
ছেলের আবদার পুরণের সুবাদেই মেসির খেলা দেখার সুযোগ হয়েছে সাব্বিরের। বলেন, ‘মেসির খেলা সামনাসামনি দেখার সুযোগটা আমার বড় ছেলে ফারশাদের কারণে সম্ভব হয়েছে। সে আমার কাছে একটা গিফট চেয়েছিল, তা হচ্ছে মাঠে বসে মেসির খেলা দেখা। বলে, বাবা আমাকে মেসির খেলা দেখার সুযোগ করে দিও।’
সাব্বির তার দুই সন্তানকে নিয়ে যে গ্যালারিতে বসে খেলা উপভোগ করেছিলেন, তার প্রতি টিকিটের মূল্য ৫০০ মার্কিন ডলার। অর্থাৎ তিনজনের টিকিটের মূল্য বাংলাদেশি মুদ্রায় দেড় লাখেরও বেশি।
উল্লেখ্য, কোপা আমেরিকার এই ম্যাচে লাউতারো মার্তিনেজের শেষ সময়ের গোলে চিলিকে ১ গোলে হারিয়েছে আর্জেন্টিনা। আর্জেন্টিনা-চিলির এই ম্যাচে হাজির ছিলেন এখনকার সময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী এবং তাসনিয়া ফারিণও। তারা সকলেই এই ম্যাচটি গ্যালারিতে বসে উপভোগ করলেও মীর সাব্বিরের সঙ্গে দেখা হয়নি মেহজাবীন-ফারিণের। তবে খেলার সময় একসঙ্গে ক্যামেরাবন্দী হয়েছিলেন মেহজাবীন-ফারিণ।
ডিএ