বাংলায় হতাশ শাশ্বত, দক্ষিণী সিনেমার প্রশংসায় পঞ্চমুখ
আরমাত্র কদিন পরই মুক্তি পাবে নাগ অশ্বিনের ‘কল্কি ২৮৯৮ এডি’। ছবিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়। সদ্য মুক্তি পেয়েছে তার ‘লুক’। ছবিতে তিনি গলা পর্যন্ত ঢাকা বিশেষ পোশাকে সজ্জিত। ইতোমধ্যেই ভাইরাল তার ‘লুক’। কারণ, এই ছবিতে তার সহ-অভিনেতা অমিতাভ বচ্চন, কমল হাসান, প্রভাস, দীপিকা পাড়ুকোন।
নিজের চরিত্রের ব্যাপারে শাশ্বত বললেন, খলনায়কের ভূমিকায় অভিনয় করেছি। এর বেশি এখন আর বলতে পারব না। প্রচুর মার খেয়েছি। মারের চোটে শেষে মরে গিয়েছি।
তিনি বলেন, দক্ষিণী ছবির অ্যাকশন সম্পর্কে কারও কোনও ধারণাই নেই। যে পোশাকে আমায় দেখছেন সেই পোশাকেরই ওজন পাঁচ কেজি! ওই ভারী পোশাক পরে মারপিট করতে হয়েছে। দিনের শেষে ঘাড় ব্যথা হয়ে যেত। ছবির কারণে ওজনও ঝরাতে হয়েছে শাশ্বতকে।
এ তো গেল অভিনয়ের গল্প। তার সহ-অভিনেতা বলিউড ও দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রির বড় তারকা। তাদের সঙ্গে কাজ করে কেমন লাগল? প্রশ্ন শুনে উচ্ছ্বাস নিবারণ করতে পারেননি শাশ্বত। তিনি বলেন, প্রত্যেকে অসাধারণ, বলাই বাহুল্য। প্রত্যেকে ভীষণ পেশাদার। কাজের বাইরে কিচ্ছু বোঝেন না। শুটিং না থাকলেও কেবল কমল হাসানের কাজ দেখবেন বলে সেটে আসতেন প্রভাস! আমার বেশি দৃশ্য দীপিকার সঙ্গে। দুর্দান্ত অভিনেত্রীর পাশাপাশি দারুণ ভাল মানুষ। বিকেলে শট। সকাল থেকে সেটে বসে। কোনও বিরক্তি নেই! আর কমল হাসানের কথা যত বলব ততই কম।
শাশ্বত আরও বলেন, প্রথম দিন তাকে দেখেই আমি আপ্লুত। তার অভিনীত ছবির কথা মনে পড়ে যাচ্ছিল। পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করতে যেতেই হাত চেপে ধরেছিলেন। তার পর ফিসফিসিয়ে জানালেন, আর যেন কখনও তার পা না ছুঁই। উনি এত কিছুর যোগ্যই নন! এত ধীরে কথা বলেন যে মন দিয়ে না শুনলে কথা শোনা দায়।
এই ছবিতে শাশ্বত একমাত্র বাংলা ইন্ডাস্ট্রির প্রতিনিধি। কেমন আদরযত্ন পেলেন? দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রি কেমন? জবাবে ত্তিনি বলেন, ছোট্ট উদাহরণ দিই। বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে কেউ উন্নতি করলে বাকিদের মুখ ভার। উল্টো যে উন্নতি করে তাকে টেনে নিচে নামাতে চায়। দক্ষিণে ঠিক তার উল্টো। একদিন শুটিংয়ে গিয়ে দেখি, সেটে সবাই ‘আরআরআর’-এর গান চালিয়ে নাচছেন! কী ব্যাপার? প্রশ্ন করে জানতে পারলাম, আগের রাতে আন্তর্জাতিক মঞ্চে সম্মানিত হয়েছে ছবিটি। ভোরে সেই খবর পেয়েই আনন্দে আত্মহারা হয়ে সকলে ছবির গান চালিয়ে নাচছেন!
তিনি আরও জানান, তাদের ইন্ডাস্ট্রি সম্মানিত। এত বেশি আপ্যায়ন, অভিনেতাদের স্বাচ্ছন্দ্যের প্রতি ইউনিটের এতটাই নজর যে প্রত্যেক অভিনেতা নিজে থেকেই ২০০ শতাংশ উজাড় করে দেন।
পিএইচ/পিএইচ