সত্যজিৎ রায়ের পৈত্রিক ভিটা মসুয়ায় জাদুঘর গড়ে তোলার আহ্বান
কিশোরগঞ্জ জেলার কটিয়াদি উপজেলার মসুয়া গ্রামে সত্যজিৎ রায়ের পৈত্রিক ভিটাটি সংরক্ষণে একটি স্মৃতি জাদুঘর গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
আজ রোববার (২ মে) ভারতীয় উপমহাদেশের প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকার বৃহত্তর ময়মনসিংহের কীর্তিমান সন্তান সত্যজিৎ রায়ের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সংস্কৃতিকর্মীসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি তিনি এ আহ্বান জানান।
বৃহত্তর সাংস্কৃতিক ফোরাম এই ভার্চুয়াল আলোচনা সভার আয়োজন করে। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওই স্থানে একটি স্মৃতি জাদুঘর গড়ে তোলার বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দেন সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি।
বৃহ্ত্তর ময়মনসিংহ সাংস্কৃতিক ফোরামের সভাপতি মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘সত্যজিৎ রায় ছিলেন বাংলা ও বাঙালির গৌরবের ধন। তিনি কেবল বাংলা চলচ্চিত্রেই নয়, দুনিয়ার সব চলচ্চিত্রের শ্রেষ্ঠজনদের একজন। তিনি ছিলেন অসাধারণ মেধাবী ও সৃজনশীল একজন মানুষ। গ্রাফিক্স-ডিজাইনসহ বাংলা টাইপোগ্রাফি বা হরফমালা সৃষ্টির জন্য তিনি অসাধারণ কাজ করে গেছেন।
সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপস্থিত ছিলেন বৃহত্তর ময়মনসিংহ সমন্বয় পরিষদের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, জাতীয় কবি কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর এসএম মোস্তাফিজুর রহমান, সাবেক সচিব আবদুস সামাদ, বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ম. হামিদ, চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মাহমুদ সাজ্জাদ, বৃহত্তর ময়মনসিংহ সাংস্কৃতিক ফোরামের সেক্রেটারি রাশেদুল হাসান শেলী প্রমুখ।
সভায় সভাপতির বক্তব্যে মোস্তাফা জব্বার জানান, সত্যজিতের পিতামহ উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী এবং বাবা সুকুমার রায় দুজনেরই জন্ম হয়েছিল বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জ জেলার কটিয়াদি উপজেলার মসূয়া গ্রামে। অতীতকে সংরক্ষণ করতে না পারলে আমরা আমাদের গৌরবোজ্জ্বল অতীত খুঁজে পাব না।
তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের পূর্বপুরুষদের স্মৃতি, তাদের ইতিহাস তুলে ধরতে না পারলে জাতি হিসেবে সামনে যেতে পারব না। বৃহত্তর ময়মনসিংহের অনেক স্মৃতি আছে। সেই স্মৃতি রক্ষা করা অনিবার্য। জঙ্গল বাড়ির ঈসা খাঁ, মুক্তাগাছার মহারাজা কিংবা বাংলা সাহিত্যের প্রথম মহিলা কবি চন্দ্রাবতীর স্মৃতিসহ অনেক স্মৃতি আছে যা সংরক্ষণ করা জরুরি।’
তিনি আরও বলেন, ইচ্ছা করলে ভালো কিছু সহজে করা যায়। জাতীয় কবি কাজী নজরুলের স্মৃতি রক্ষায় সাংস্কৃতিক ফোরামসহ সংশ্লিষ্ট সকলের আন্তরিক চেষ্টায় আমরা কবি কাজী নজরুল বিশ্ব বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করে কবির স্মৃতিকে যেমন অম্লান করে রাখতে পেরেছি। তেমনি সত্যজিৎ রায়ের স্মৃতি বিজড়িত মসুয়াকে আমরা সকলে মিলে অমর করে রাখতে চাই। অনুষ্ঠানে বক্তারা সত্যজিৎ রায়ের চলচ্চিত্র প্রতিভার বিভিন্ন দিক নিয়েও আলোকপাত করেন।
একে/আরআইজে