আমার ৭০০-৮০০ গার্লফ্রেন্ড হয়েছে : সুমিত
ওপার বাংলার সিনেমার ‘ভিলেন’ হিসেবে জনপ্রিয় অভিনেতা সুমিত গঙ্গোপাধ্যায়। ‘যুদ্ধ’, ‘ঘাতক’, ‘এমএলএ ফাটাকেষ্ট’র মতো আরও অনেক বাংলা সিনেমার খলনায়কের চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি।
পর্দায় এমন কোনো নেতিবাচক চরিত্র নেই যেটা করেননি সুমিত। সবশেষ ‘খাদান’ ছবিতে অভিনয় করেছেন এই অভিনেতা। যেখানেও তার খলনায়ক চরিত্র দর্শকদের প্রশংসা কুড়িয়েছে।
সুমিতকে দেখলেই নাকি ভয় পান শিশুরা। এমনও হয়েছে পর্দায় তাকে দেখিয়ে সন্তানদের স্কুলে পাঠিয়েছেন, আবার খেতে বসিয়েছেন বাবা-মায়েরা। যেটা নিজের জীবনের অন্যতম প্রাপ্তি হিসেবে দেখেন এই অভিনেতা।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সুমিত বলেন,‘আমি ৮-৯ কোটি ছেলে-মেয়েকে মানুষ করেছি। আমার ভয়েই তারা সময়ের কাজ সময়ে করেছে। বাবা-মায়েরা আমাকে দেখিয়ে তাদের ভয় দেখাত। ছেলে-মেয়েগুলো লেখাপড়া করেছে আমাকে ভয় পেয়েই। আজ হয়তো তারা অনেক বড় হয়ে গেছে। চাকরি-বাকরি করছে। এটা নিঃসন্দেহে আমার জীবনের অন্যতম প্রাপ্তি।’
আরও পড়ুন
পর্দায় ভয়ানক সকল চরিত্রে অভিনয় করলেও ব্যক্তিজীবনে সম্পূর্ণ ভিন্ন সুমিত। বেশ সংসারী এই অভিনেতা। স্ত্রী-সন্তান নিয়ে গোছানো তার জীবন। সিনেমায় যাকে দেখে ভয় পান শিশুরা, সেই অভিনেতাকে বাস্তবে তার কন্যাই নাকি ভয় পান না।
বর্তমানে ৬০ বছর ছুঁই-ছুঁই বয়স সুমিতের। তবে মনের দিক থেকে ২৫ বছরের যুবক। এক সাক্ষাৎকারে অভিনেতা বলেন, ‘আমার সঙ্গে কোনও মহিলা যদি ৪-৫দিন মেলামেশা করেন, সিনেমায় যান, কফি খান, তিনিও আমার প্রেমে পড়ে যাবেন। পুরোপুরি প্রেমে পড়ে যাবেন। একদম হাবুডুবু খাবেন। এটা আমি চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি। আমি কিন্তু সেই মহিলার হাতটাও ধরব না।’
সুমিতের দাবি, বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির ৯০ শতাংশ নায়িকাই নাকি তার প্রেমে পড়েছেন। ঋতুপর্ণা থেকে রচনা–সকলেই রয়েছেন সেই তালিকায়।
অভিনেতা বলেন, ‘ঋতুপর্ণা, রচনা, লকেট (চট্টোপাধ্যায়), শতাব্দী (রায়) সকলেই আমার প্রেমে পড়েছেন। তবে এই কথাগুলো যদি রেকর্ড করে কাউকে শোনান, তারা কিন্তু আমাকে মারবেন। আমার এখনও পর্যন্ত ৭০০ থেকে ৮০০ জন গার্লফ্রেন্ড হয়েছে। কিছু্ করার নেই, আমার স্ত্রী সবই জানেন। তার কাছে কিছুই লুকাই না। এই প্রেমিকারা আমার আমৃত্যু থাকবে। ঈশ্বর আমাকে এটা উপহার দিয়েছেন (হাসি)।’
মহিলারা কেন বারবার প্রেমে পড়েন সুমিতের, অভিনেতার উত্তর- ‘আমার জ্যোতিষ ছকে শুক্র খুবই ভাল জায়গায় অবস্থান করে। সে কারণেই মহিলারা আমাকে খুব ভালবাসেন।’
স্ত্রী শেলি গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে কীভাবে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয় সুমিতের। অভিনেতা বললেন, ‘সে তো আমার প্রেমে পড়েছিল আলাপের ৪-৫ দিনের মধ্যে। তারপর আমাকে টানা একবছর কথা চালিয়ে যেতে হয়েছে। একবার সে ভয়ানক অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। তখন আমি দেখাশোনা করতাম। এরপরই বিয়ে করে ফেললাম।’
এনএইচ