‘বেশি কথা বললে থাপ্পড় খেতেই হয়, যত বড় অভিনেতাই হোক’
ভারতের নবনির্বাচিত সাংসদ ও বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াতকে চড় দেওয়ার ঘটনায় উত্তাল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। গত বৃহস্পতিবার চণ্ডীগড় বিমানবন্দরের নিরাপত্তা পয়েন্ট পার হওয়ার সময় কঙ্গনার গালে কষিয়ে থাপ্পড় মারেন সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্সের (সিআইএসএফ) নিরাপত্তাকর্মী কুলিন্দর কৌর।
কী কারণে ওই অভিনেত্রীর গালে ক্ষোভ ঝারলেন নিরাপত্তাকর্মী কুলিন্দর। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছেন, কৃষকদের বিক্ষোভ সম্পর্কে অভিনেত্রীর একটি পুরোনো মন্তব্যে তিনি ক্ষুব্ধ ছিলেন। যে কারণেই এই থাপ্পড়।
সদস্য নির্বাচিত সংসদ সদস্যের গালে থাপ্পড় মারার এই ঘটনায় দেশটির নাগরিকদের মাঝে তুমুল আলোচনা শুরু হয়েছে। যার রেশ পড়েছে বাংলাদেশেও।
দেশের গুণী অভিনেত্রী বন্যা মির্জাও এই আলোচনায় সামিল হয়েছেন। যেখানে পরোক্ষভাবেই পুরো বিষয়টি সঠিক বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন
বাংলা চলচ্চিত্রে ‘রাবেয়া’ খ্যাত এই অভিনেত্রী তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে লিখেছেন—‘বেশি কথা বললে তো থাপ্পড় খেতেই হয়। তা সে যেই হোক, আর অভিনেতা যত বড়ই হোক। এটি একটি এমন থাপ্পড়, যা না দিলে ঠিক হতো না। থাপ্পড় খেলে যা হয়, অন্য কিছুতে তা হয় না। একটি থাপ্পড় এমন সকল অভিনেতার জন্য ঠিক। (অভিনয় পেশা, অভিনেতা ব্যক্তি) যারা এমন এমন করে কথা বলে থাকে।’
তবে বন্যা মির্জা তার পোস্টের কোথাও কঙ্গনার নাম লেখেননি। তাই বলে ভক্তদের বুঝতে কষ্ট হয়নি, বন্যার তীরের নিশানায় কে ছিলেন। অনেকেই অভিনেত্রীর সঙ্গে নিজের একমত পোষণ করেছেন।
উল্লেখ্য, ভারতে লোকসভা নির্বাচনে হিমাচলের মান্ডি আসন থেকে বিজয়ী হয়েছেন বিজেপি প্রার্থী কঙ্গনা রণৌত। ভোটে জয়ের পর দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দিতে চন্ডীগড় এয়ারপোর্টে পৌঁছান তিনি। সিকিউরিটি চেকিংয়ের সময় কুলবিন্দরের সঙ্গে তর্কে জড়ান কঙ্গনা রণৌত। এ ঘটনার পরে অভিনেত্রীকে থাপ্পড় মারেন কনস্টেবল কুলবিন্দর।
জানা গেছে, কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে ভারতীয় কৃষকরা ১৫ মাস আন্দোলন করেছিলেন। ওই আন্দোলন সম্পর্কে কঙ্গনা বলেছিলেন, কৃষকেরা ১০০ রুপির জন্য সেখানে বসেছিল। এদিকে ওই আন্দোলনের একজন কর্মী ছিলেন কুলবিন্দরের মা। তা ছাড়া কুলবিন্দরের ভাই এই আন্দোলনে নেতৃত্ব প্রদানকারীদের একজন।
এনএইচ