ছবি নিয়ে নিউজ করায় ক্ষেপলেন রুনা খান
‘ফেসবুকে ঈদের দিনে ছবি দিয়েছি, সেটাও নিউজ। জন্মদিনের ছবি প্রকাশ করেছি, সেটাও নিউজ...প্রতিটা সংবাদের মাঝে আমার ওজন কমানোর গল্প। আমি কিন্তু বাংলাদেশের একটি পত্রিকা বা চ্যানেলের সঙ্গেও কথা বলি না, আপনারা আপনাদের প্রয়োজনে নিউজ বানিয়েছেন। ভাইরাল হওয়া আপনাদের প্রয়োজন; চ্যানেলের প্রয়োজন, পত্রিকার প্রয়োজন। অভিনেতার প্রয়োজন নয়।’- সম্প্রতি ঢাকা ফ্যাশন শো’তে হাজির হয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এভাবেই নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করছিলেন অভিনেত্রী রুনা খান।
রুনা বলেন, ‘গত এক বছরে এমন কোনো টিভি চ্যানেল নেই যেখান থেকে আমাকে প্রতি মাসে ফোন করা হয়নি। তারা ফোন দিয়েই বলেছে, ‘আপু আপনার সঙ্গে কথা বলতেই চাই।’ আমি যখনই জানতে চেয়েছি কি বিষয়ে, তারা বলেছেন এমনি। কিংবা লাইফস্টাইল, ওজন কমানো সম্পর্কে। আমি এসব বিষয়ে কথা বলতে চাইনি। আমি চাই আমাকে নিয়ে আলোচনা হোক কাজের জন্য। ছবি প্রকাশ কিংবা ওজন কমানোর জন্য নয়।’
রুনা মনে করেন, বর্তমানে তিনি পরবর্তী প্রজন্মের শিল্পীদের সঙ্গে কাজ করছেন। তাদের সঙ্গে সেরা অভিনেত্রীর মনোনয়ন পাচ্ছেন। এসব নিয়েই বেশি আলোচনা হওয়া উচিত। তার ছবি, ফটোশুট কিংবা ওজন কমানো প্রসঙ্গে নয়।
আরও পড়ুন
অভিনেত্রী বলেন, ‘আমি ২০০৫ সালে অভিনয় শুরু করেছি। বর্তমানে মেহজাবীন, তাসনিয়া ফারিণ...আমার পরের প্রজন্মের অভিনেত্রীর সঙ্গে কাজ করছি। তবুও যখন সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে যাই, তাদের আলোচনার বিষয় কাজ থাকে না। আমার ফটোশুট, লাইফস্টাইল, ওজন কমানো এসব নিয়েই থাকে। দেখা যায়, আমার ওজন কমানোর একটা নিউজ থেকে ১ হাজার নিউজ হয়েছে।’
গত বছর ওজন কমিয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এই অভিনেত্রী। তবে অভিনয়ের বাইরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন ফটোশুটে মাঝেমধ্যেই চমকে দেন তিনি। সামাজিক যোগাযোগের পাতায় হাজির হন নতুনরূপে। কখনো ওজন কমানো আবার কখনো খোলামেলা পোশাকে ধরা দেন ৪০ বছর বয়সি এই অভিনেত্রী।
উল্লেখ্য, টেলিভিশন নাটকে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে রুনা খানের কর্মজীবন শুরু হয়। ‘হালদা’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ও বাচসাস পুরস্কার অর্জন করেন তিনি। এছাড়া গহীন ‘বালুচর’ ও ‘ছিটকিনি’ ছবিতে অভিনয় করে প্রশংসিত হয়েছেন। ছিটকিনি ছবিতে কাজের জন্য শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র অভিনেত্রীর জন্য মেরিল-প্রথম আলো সমালোচক পুরস্কার অর্জন করেন রুনা।
এনএইচ