ডিভোর্সি পুরুষকেই বিয়ে করা উচিত : শ্রীময়ী
সদ্যই সাতপাকে বাঁধা পড়েছেন ওপার বাংলার জনপ্রিয় অভিনেতা কাঞ্চন মল্লিক ও অভিনেত্রী শ্রীময়ী চট্টরাজ। দীর্ঘদিন গোপন প্রেমের পর একে অন্যের গলায় মালা দিলেন এই জুটি। তাদের বিয়ের পর ভক্তদের মাঝে আলোচনা কম হয়নি।
কারণ ব্যক্তিজীবনে কাঞ্চন মল্লিকের ছিল এটি তৃতীয় বিয়ে। অন্যদিকে শ্রীময়ীর ছিল প্রথম। তাদের দুজনের বয়সের পার্থক্যও ছিল চোখে পড়ার মতো। তাই বিয়ের পর বেশ সমালোচনার মুখেই পড়তে হয় এই জুটিকে।
বিষয়গুলো একাধিকবার মুখ খুলেছেন এই দম্পতি। সবশেষ আনন্দবাজারকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শ্রীময়ী বলেছেন, ডিভোর্সি পুরুষকে বিয়ে করে কোনো ভুল করেননি তিনি। বরং অভিনেত্রী মনে করেন, স্বামী হিসেবে ডিভোর্সী পুরুষ বেশ ভালো হয়।
অভিনেত্রীর ভাষায়, ‘ডিভোর্সি পুরুষকে বিয়ে করা ভুল— এটা আমি একদম মানি না। আমি তো উল্টো কথাই বলব। কাঞ্চনের আইনত বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে। এরকম তো নয় যে, একসঙ্গে তিন-চারটে বিয়ে করে রেখেছে! একসঙ্গে থাকতে না পারলে সম্পর্ক থেকে মানুষ সরে আসে। দু’জনেই ভুল করে। কাঞ্চন বিয়ের মধ্য দিয়ে যেতে যেতে যে ভুল দেখতে পেয়েছে, সেই ভুল আর আমার সঙ্গে করবে না। আমি নিশ্চিত। তাই ডিভোর্সি পুরুষকেই বিয়ে করা উচিত বলে মনে করি।’
আরও পড়ুন
বিয়ের পর শ্রীময়ী কতটা বদলে গেছেন? জবাবে নিজের বদলে যাওয়ার চেয়ে কাঞ্চনের পরিবর্তন নিয়ে শ্রীময়ী বলেন, ‘‘ওর যে কী হয়েছে! হঠাৎ করে দেখছি আমি একটানা কথা বলে যাচ্ছি, হা করে ও আমাকে দেখছে। আসলে আমাদের বন্ধুত্ব থেকে বিয়ে, তারপরে প্রেম। এই সম্পর্কের কম লড়াই তো ছিল না। ‘পরকীয়া’ বলে দাগিয়ে দেওয়া হলো। তারপর কাঞ্চনের বিচ্ছেদ নিয়ে ওঠাপড়া, বিয়ে যে হবে সেটাও ভাবিনি।’’
প্রসঙ্গত. অনিন্দিতা দাসকে ভালোবেসে প্রথম সংসার শুরু করেছিলেন ভারতীয় বাংলা সিনেমার অভিনেতা কাঞ্চন মল্লিক। ২০১০ সালে ভেঙে যায় এ সংসার। তাদের সাড়ে সাত বছরের সংসার ছিল। এরপর পিংকি বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন কাঞ্চন। গত ১০ জানুয়ারি ৯ বছরের দাম্পত্য জীবনের ইতি টানেন তারা।
দ্বিতীয় সংসার ভাঙার এক মাসের মাথায় তৃতীয় বিয়ে করেন ৫৩ বছর বয়সী কাঞ্চন। কনের নাম শ্রীময়ী চট্টরাজ। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ২৭ বছর বয়সী এই অভিনেত্রীকে রেজিস্ট্রি বিয়ে করেন কাঞ্চন। চলতি মাসে সামাজিক রীতি মেনে ২৬ বছরের ছোট শ্রীময়ীকে ঘরে তুলেন কাঞ্চন।
এনএইচ