ঠোঁট সার্জারি নিয়ে অবশেষে মুখ খুললেন আয়েশা টাকিয়া
বলিউড অভিনেত্রী আয়েশা টাকিয়া দীর্ঘদিন পরে ধরা পড়লেন গণমাধ্যমকর্মীদের ক্যামেরায়। ‘ওয়ান্টেড’, ‘সালাম-এ-ইশক’-এর মতো ছবিতে কাজ করেছেন এই অভিনেত্রী। দীর্ঘদিন পর তাকে শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) মুম্বাইয়ের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দেখা গেলে গণমাধ্যমকর্মীদের ক্যামেরাবন্দি হন তিনি। এমনকী বিমানবন্দরের ভিতরে প্রবেশের আগে, কয়েকটি ছবি তোলার জন্য থামতে হয়। তার সঙ্গে ছিল তার ছেলে এবং এক বন্ধু।
আয়েশাকে এদিন দেখা গেল গাঢ় নীল স্যুট এবং লম্বা খোলা চুলে। তিনি একটি কালো মাস্ক পরেছিলেন, তবে ফটোগ্রাফারদের অনুরোধে মাস্কটি খুলে রাখেন। তার ছেলে মিকাইলের পরনে ছিল সবুজ শার্ট, কালো প্যান্ট এবং পিঠে একটি বড় ব্যাকপ্যাক।
আয়েশাকে সর্বশেষ বড় পর্দায় দেখা গিয়েছে ২০১১ সালে মোড ছবিতে। যার পরে তিনি চলচ্চিত্র থেকে বিরতি নিয়েছিলেন। তবে আয়েশার বদলে যাওয়া চেহারা কিছু বছর আগে হয়েছিল আলোচনার কারণ। হয়েছিলেন মারাত্মক ট্রলের শিকার হয়েছিলেন সালমান খানের এই নায়িকা। অস্বাভাবিক ফোলা ঠোঁট দেখে অনেকেরই ধারণা হয় তিনি বুঝি বা ফিলার ব্যবহার করেছিলেন।
যদিও সব অস্বীকার করেছেন আয়েশা। বলেন, ‘একেবারে ফালতু কথা এইগুলো। ছবিগুলি বিকৃত করা হয়েছিল’। তিনি আরও বলেছিলেন, ‘আমি গোয়ায় ছুটি কাটাচ্ছিলাম যখন এই ছবিগুলি ভাইরাল হয়েছিল এবং এটি খুব হাস্যকর। কারণ যারা আমাকে ব্যক্তিগতভাবে দেখেছেন তারা জানবেন যে মোটেও ঘটনা তেমন নয়। কিন্তু সেলিব্রিটিদের এই সমস্ত কিছুর মধ্যে দিয়ে যেতে হয়।’
জানা যায়, অভিনয় থেকে বেশ দূরে এখন আয়েশা। বিয়ে করেছেন রেস্তোরাঁ মালিক ফারহান আজমিকে। ২০২০ সালে আয়েশা ও ফারহান তাদের হোটেলকে কোভিড-১৯ মহামারির সময় কোয়ারেন্টাইন সেন্টার হিসেবে ব্যবহার করার জন্য দিয়েছিলেন।
ফারহানকে সেই সময় বলেছিলেন, ‘হ্যাঁ, আমরা আমাদের গালফ হোটেলটি বিএমসিকে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের জন্য দিয়েছি। এই দুঃসময়ে আমরা একসঙ্গে আছি। আমরা আমাদের হোটেলকে বিএমসি এবং মুম্বাই পুলিশকে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার হিসাবে হস্তান্তর করেছি। ছোট্ট একটা হোটেল। আমরা আশা করি, ভবিষ্যতে সরকার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদেরও সহযোগিতা করবে।’
আয়েশা একজন মডেল হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু করেছিলেন এবং ফাল্গুনী পাঠকের ‘মেরি চুনার উড় উড় যায়ে’ গানের মাধ্যমে প্রথম জনপ্রিয়তা পান। পরে তিনি ‘টারজান: দ্য ওয়ান্ডার কার’ দিয়ে বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন এবং ২০০৪ সালে সেরা ডেবিউনেন্ট হিসেবে ফিল্মফেয়ার পুরস্কারও জিতেছিলেন। ‘দিল মাঙ্গে মোরে’, ‘নো স্মোকিং’, ‘ওয়ান্টেড’, ‘সালাম-এ-ইশক’, ‘পাঠশালা’র মতো ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি।
পিএইচ