জন লেনন : মৃত্যুর চার দশক
জন লেনন। বিখ্যাত বৃটিশ ব্যান্ড ‘বিটলস’ যার হাত ধরে শুরু। অল্প বয়সেই ব্যান্ড গড়েন তিনি। মাত্র দশ বছরে পুরো বিশ্বে জনপ্রিয়তা পায় ব্যান্ডটি। এ যাবত কালে সেরা ব্যান্ডেগুলোর একটি ‘বিটলস’। গান দিয়ে যেমন বিনোদন দিয়েছেন। তেমন গান দিয়ে প্রতিবাদ করেছেন অন্যায়ের। ছকে বাঁধা কোনো জীবনকে বেছে নেননি তিনি। উন্মুক্ত শিল্প চর্চা করেছেন। ‘ইমাজিন’, ‘গিভ পিস অ্যা চান্স’ দিয়ে তার স্বপ্নের পৃথিবীর কথা বলেছেন।
‘বিটলস’ ব্যান্ড। বাম থেকে জন লেনন, পল ম্যাককারি, রিংগো স্টার ও জর্জ হ্যারিসন
সঙ্গীতজ্ঞ জন লেননের ৪০ তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ১৯৮০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে এক আততায়ীর হাতে খুন হোন তিনি। ১৯৮০ সালের ৮ ডিসেম্বর মার্ক ডেভিড চাপম্যান জন লেননকে বাসায় ফেরার পথে রিভলবার ঠেকিয়ে গুলি করেন। পরে হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনি মারা যান। চাপম্যান মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। পরবর্তীতে ২০ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করেন তিনি।
১৯৪০ সালের ৯ অক্টোবর জন্ম নেয় জন লেনন। তিনি ছিলেন একজন গীতিকারও। রচনা করেছেন ২১৩ টি গান। এরমধ্যে ১৮৮ টি তার নিজের লেখা গান। সুর করেছেন ১৫০ টি গানে।
জন লেনন ও স্ত্রী ইয়কো অনো
জন লেননের প্রথম স্ত্রী সিনথিয়া পোল। ১৯৬২ থেকে ১৯৬৮ পর্যন্ত সংসার শেষে বিচ্ছেদ হয় তাদের। এরপর বিয়ে করেন জাপানি চিত্রশিল্পী ইয়কো অনোকে। তার সাথে সম্পর্কের ইতি টানেন ১৯৭৩ সালে। দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের ঘটনাটি তার জীবনে গভীরভাবে প্রভাব ফেলেছে। একই বছরের মাঝামাঝি সময়ে তিনি মদ্যপান শুরু করেন। এর ঠিক দুই বছর পর তার স্ত্রী আবার ফিরে আসার পর তিনি সঙ্গীতজগত ছেড়ে দেন। তার জীবনের শেষ দিনগুলো তিনি ঘরে বসে কাটান।
রাস্তায় প্রতিবাদ করছেন জন লেনন
খুব অল্প বয়সেই মহারাণীর কাছ থেকে প্রেস্টিজিয়্যস ব্যাচ পায় বিটলস সদস্যরা। আমেরিকা যখন ভিয়েতনাম অ্যাটাক করে তখন শুধুমাত্র আমেরিকাকে সমর্থন করে ব্রিটেন। প্রতিবাদে যেমন রাস্তায় নামেন জন লেনন। সেই সাথে সেই প্রেস্টিজিয়্যস ব্যাচ ফেরত দেন মহারাণীকে। নিজেরই এই প্রতিবাদ চরিত্র আজীবন ছিল তার মধ্যে।
এইচএকে/এমআরএম