কারো স্ত্রী হওয়ার জন্য মেয়েকে বড় করিনি, বলেছিলেন সুস্মিতার বাবা
সাবেক বিশ্বসুন্দরী ও বলিউড অভিনেত্রী সুস্মিতা সেন। ব্যক্তিজীবনে অনেকের সঙ্গে নাম জড়ালেও এখনও বিয়ে করেননি তিনি। থেকে গেছেন অবিবাহিত হিসেবেই।
যদিও মাত্র ২১ বছর বয়সেই মা হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন সুস্মিতা। সেজন্য সন্তানের দত্তক নিয়েছিলেন অভিনেত্রী। কিন্তু বিয়ের আগেই এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণ মোটেও সহজ ছিল না সাবেক এই বিশ্বসুন্দরীর জন্য।
সুস্মিতার এমন পদক্ষেপের বিষয়ে সে সময় প্রশ্ন তুলেছিল আদালত। মতামত জানতে চাওয়া হয় অভিনেত্রীর বাবা-মায়ের কাছেও। এমন পরিস্থিতিতে নায়িকার পাশেই ছিলেন তার বাবা-মা।
এক সাক্ষাৎকারে সুস্মিতা বলেন, রেনেকে (দত্তক নেওয়া কন্যা সন্তানের নাম) যখন দত্তক নেওয়ার আবেদন করি, তখন ২৯ বছর বয়সী এক তালাকপ্রাপ্ত নারী রেনেকে দত্তক নেওয়ার আগ্রহ দেখান। যেহেতু তখন আমার বয়স ছিল মাত্র ২১ বছর অন্যদিকে বিবাহিতও ছিলাম না। তাই ধরেই নিয়েছিলাম, রায় আমার পক্ষে আসবে না।
নায়িকার ভাষায়, ‘সেসময় আমি বাবাকে ও ড্রাইভারকে বলেছিলাম রেনেকে নিয়ে পালিয়ে যাই। কারণ তখন সে আমাকে ‘মা’ বলে ডাকতে শুরু করেছিল। তাকে বাসায় নিয়ে যাওয়া ছাড়া কিছুই ভাবতে পারছিলাম না।’
এরপর আদালতে বিচারক সুস্মিতার বাবাকে জিজ্ঞেস করেন, আপনার মেয়ের সন্তান দত্তক নেওয়ার বিষয়ে আপনাদের মত রয়েছে কিনা এবং এমন এক সিদ্ধান্তে তার বিয়ের পথ জটিল হবে কিনা?
এর জবাবে সুস্মিতার বাবা মেয়ের সিদ্ধান্তের পক্ষই নেন। বিচারককে বলেন, ‘কারো স্ত্রী হওয়ার জন্য আমার মেয়েকে বড় করিনি। সুস্মিতা যদি মাতৃত্বের সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে তাহলে আমি নিশ্চিত করেই বলতে পারি, সে সঠিকভাবেই সকল দায়িত্বগুলো পালন করবে।’
এরপরই আদালতের রায় আসে সুস্মিতার পক্ষে। বর্তমানে রেনে সেনের বয়স ২৩ বছর। বাবা ছাড়াই মেয়েকে মায়ের আদরে বড় করেছেন সাবেক এই বিশ্বসুন্দরী।
সূত্র: টাইমস অফ ইন্ডিয়া
এনএইচ