ফারুকীকে অভিনেতা হতে নিষেধ করলেন তারিক আনাম
ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকিতে মুক্তি পেয়েছে মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ‘সামথিং লাইক এন অটোবায়োগ্রাফি’। প্রথমবারের মতো নির্মাণের পাশাপাশি অভিনয়ও করেছেন তিনি। যেখানে তার সঙ্গে দেখা মিলেছে নুসরাত ইমরোজ তিশার।
ইতোমধ্যেই ওয়েব ফিল্মটি দেখার পর নিজেদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন একাধিক তারকা। যাদের মধ্যে রয়েছেন কিংবদন্তি অভিনেতা তারিক আনাম খান৷ ফারুকীর প্রতি পরামর্শ দিয়ে তাকে অভিনেতা হতে নিষেধ করেছেন তিনি।
শনিবার (২ ডিসেম্বর) ফেসবুকে এই গুণী অভিনেতা লেখেন, ‘সামথিং লাইক এন অটোবায়োগ্রাফি’ দেখতে বসেছিলাম অনেকটাই নিস্পৃহতা আর নির্লিপ্ততা নিয়ে। কয়েকদিন এর আলোচনা, গল্পের শিরোনাম এসব দেখেই মনে হচ্ছিল ওদের (ফারুকী-তিশা) প্রেম কাহিনী, ইত্যাদি, ইত্যাদি। অস্বীকার করবো না - শুরুতে আগ্রহে কিছুটা ভাটার টানও লেগেছিল।
একটি দৃশ্যের রেশ টেনে এই অভিনেতা লেখেন, বন্দুকের আওয়াজ (বাজি, পটকা হলেও আমার কাছে তাই মনে হচ্ছিল) নাড়িয়ে দিল। ফারহান (গল্পে ফারুকী) এর মত মনে হচ্ছিল চিৎকার করে হাতে লাঠি নিয়ে বলি ‘বন্ধ কর অসভ্যতা’। প্রেমের গল্প এক আওয়াজে নিয়ে গেল অন্য জায়গায়! শেষে তো বিদ্রোহী আর অপরাধী করে আটকে রেখে গেল এক কারাগারে। সমাজ মানুষ ক্ষমতা অন্যায় অক্ষমতা প্রতিবাদ - নীরবতা - The rest is silence. কান্না পায় আর বিদ্রোহ করতে ইচ্ছে করে।
গল্পের অভিনয় শিল্পীদের নিয়েও কথা বলেছেন তারিক আনাম খান। শুরুতেই নুসরাত ইমরোজ তিশার বিষয়ে তিনি লেখেন, তিশাকে অনেক আগে থেকেই চিনি জানি। অনেক কাজ করেছি, করিয়েছি একসঙ্গে। বরাবর একজন সিরিয়াস, নিষ্ঠাবান, পরিশ্রমী অভিনয় শিল্পী। তিশা নিঃসন্দেহে এখন অনেক পরিণত। ছোট ছোট মূহুর্ত তৈরীতে অনবদ্য।
ফারুকীকে অভিনেতা না হওয়ার পরামর্শ দিয়ে তারিক আনাম লিখেছেন, ফারুকীর সঙ্গেও কাজ হয়েছে। কিন্তু এরূপে ওকে ভাবিনি দেখিওনি। প্রথমে স্বচ্ছন্দ, বন্দুকের আওয়াজের পর থেকে চোখে শরীরে বিদ্রোহ, বেদনা, আপোষ, ভালোবাসা মিলে একাকার। তবে অভিনেতা হয়ো না কারণ নির্মাতা হিসেবে তুমি এখন চিন্তায়, মননে, বুদ্ধিমত্তায় অনেক অনেক পরিণত।
সবশেষে তারিক আনাম খান লিখেছেন, বলা বাহুল্য এটি কোনও রিভিউ নয়, একেবারেই ব্যক্তিগত অনুভূতি।
প্রসঙ্গত, মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও নুসরাত ইমরোজ তিশা দম্পতির ব্যক্তিজীবনের ভালোবাসায় অনুপ্রাণিত ‘সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি’র গল্প। ৮২ মিনিট দৈর্ঘ্যের এই সিনেমা ৩০ নভেম্বর মুক্তি পেয়েছে চরকির ‘মিনিস্ট্রি অব লাভ’ প্রজেক্টের প্রথম সিনেমা হিসেবে। এতে ফারুকী-তিশার সঙ্গে অভিনয় করেছেন ইরেশ যাকের, মনোয়ার হোসেন ডিপজল, ডলি জহুর, শরাফ আহমেদ জীবন প্রমুখ।
এনএইচ