আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েও কেন স্বতন্ত্র প্রার্থী, জানালেন মাহি
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে রাজশাহী-১ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র তুলেছিলেন চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। তবে দল তাকে বিবেচনা করেনি। ফলে ওই দুই আসনের একটি থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন এই অভিনেত্রী।
নির্বাচনে রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) আসনের প্রার্থী হতে সোমবার (২৭ নভেম্বর) সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও তানোর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিল্লাল হোসেনের কার্যালয় থেকে মাহিয়া মাহির মনোনয়নপত্র তোলা হয়েছে। সেখানে জাতীয় পরিচয়পত্র অনুসারে প্রার্থী হিসেবে মাহিয়া মাহির নাম লেখা হয়েছে শারমিন আক্তার নিপা। স্বতন্ত্রভাবে মনোনয়নপত্র তোলার বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন নায়িকা নিজেই।
আরও পড়ুন
আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েও কেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করবেন সেটাও জানিয়েছেন মাহি। এক ভিডিওবার্তায় এই নায়িকা বলেন, ‘আমরা যারা মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলাম, তাদেরকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী (আমার নেত্রী) দিক নির্দেশনা দিয়েছেন যে, এই নির্বাচন যেন একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হয়। এই নির্বাচনে যাতে একটা উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়। যারা নির্বাচন করতে চায় (অর্থাৎ অন্যান্য দল-মত যারা ভেতরে পোষণ করে), তাদেরকে আমরা যেন উৎসাহ দিই, তারা যেন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে—সেটা যেন আমরা নিশ্চিত করি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এই নির্দেশনা আসার পরে আমার এলাকা তথা রাজশাহী-১-এর অনেক মানুষ আছেন, যারা আমাকে ফোন করছেন। বলছেন, আপনি আসেন। আপনি ইলেকশন করেন। অনেক তরুণরা আমাকে উৎসাহ দিচ্ছে। সুতরাং তাদের জন্য এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি—এই নির্বাচনে রাজশাহী-১ থেকে স্বতন্ত্র ইলেকশন করব।’
এই নায়িকা আরও বলেন, ‘আমি তো নিশ্চয়ই হারার জন্য ইলেকশন করব না, আমার পক্ষ থেকে জেতার চেষ্টা করব। তো আপনারা যারা নির্বাচন করার জন্য ভেবেছিলেন, কিন্তু করবেন না; তারা কেন ঘরে বসে থাকবেন? আপনারাও চলে আসেন। আমরা সবাই মিলে একটা উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচনটা করি। ইনশাল্লাহ, আপনার যদি যোগ্যতা থেকে থাকে, আপনি যদি মানুষের জন্য কিছু করে থাকেন—তাহলে অবশ্যই আপনিও জিতে বের হয়ে আসতে পারবেন।’
এ সময় এলাকাবাসীদের একপ্রকার নির্বাচনী ইশতেহার জানিয়ে মাহি বলেন, ‘আমরা তো আসলে কম খাই, কম খেতে পছন্দ করি—যদি কেউ সম্মান করে। সম্মানটাকে অনেক গুরুত্ব দিই আমরা। কথা দিচ্ছি, যদি নির্বাচিত হই—আমার এলাকার মানুষকে সম্মানিত করব। শিক্ষক তার সম্মান পাবে। কৃষক সম্মান পাবে। প্রত্যেকটা মানুষ সম্মান নিয়ে এই এলাকায় বসবাস করবে, কাউকে ভয় পেয়ে নয়। মানুষের জন্য আমি মানবিক কাজ করে যাচ্ছি। এখন যদি তারা চান,তাহলে আমাকে ভোট দেবেন।’
উল্লেখ্য, রাজশাহী-১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ওমর ফারুক চৌধুরী। ২০০৮ সাল থেকেই তিনি এ আসনের এমপি।
এনএইচ