নানার সঙ্গে তার শেষ কালেমাটা পড়তে পেরেছি : পরীমণি
বাবা-মাকে হারানোর পর নানা শামসুল হক গাজী ছিলেন পরীমণির সবচেয়ে কাছের মানুষ। বিপদে-আপদে সবসময় ভরসার জায়গা ছিলেন তিনি। সেই নানা-ও পরীমণিকে ছেড়ে চিরদিনের জন্য বিদায় নিলেন।
বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) দিবাগত রাত ২টার দিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন শামসুল হক গাজী। নানার মৃত্যুতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন এই চিত্রনায়িকা।
শনিবার (২৫ নভেম্বর) সকালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানার সমাধিস্থলের কিছু ছবি পোস্ট করে পরীমণি লিখেছেন, ‘এই কবরস্থানে এখন তিনটা কবর। প্রথমটা আমার মায়ের। তারপর নানি আর এই যে আমার জানের মানুষটার কবর। নানু মরে যাওয়ার আগে নিজেকে আমার এতিম লাগে নাই কোনো দিন।’
পরী আরও বলেন, ‘এই জীবনে আমার নানার মতো কেউ আমাকে ভালোবাসে নাই। যারা আমাকে খুব কাছ থেকে চেনেন তারা সবাই জানেন, এই মানুষটা আমার জন্য কী ছিল। আজ হয়তো এই পরিবারের সবার থেকে ভেঙে পড়ার কথা ছিল আমার। কিন্তু আমার নানা আমাকে সবার বট গাছ করে দিয়ে গেছে। এর থেকে বড় কোনো শোক আমার আর আসবে না। যদি আসে সব শোক সহ্য করার ক্ষমতা আল্লাহ আমাকে দিবেন এটা আমার নানুর দোয়া। কতো ভাগ্যে আমি আমার নানুর সাথে তার শেষ কলেমা পড়তে পেরেছি! আহা নানুভাই কতো শান্তনায় রেখে গেল আমাকে।’
প্রসঙ্গত, পরীমণির নানাবাড়ি পিরোজপুরে। তার নানা শামসুল হক গাজী ছিলেন ভগীরথপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক। ছোটবেলায় মা-বাবা মারা যাওয়ার পর নানা বাড়িতেই বেড়ে ওঠেন তিনি। নানাবাড়িতে থেকেই মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন।
এনএইচ