গানের অর্থটা জানার চেষ্টা করেছেন? এ আর রহমানকে কবীর সুমন
‘পিপ্পা’ সিনেমার জন্য এ আর রহমান কাজী নজরুল ইসলামের ‘লৌহ কপাট’ গানটি যেভাবে করেছেন তা নিয়ে বিস্তর অভিযোগ থাকলেও বিষয়টি নিয়ে এখনও কোনো কথা বলেননি তিনি। এ বিতর্কে এবার যোগ দিলেন কবীর সুমন। এ আর রহমানের উদ্দেশে সুমন বলছেন, রহমানকে ক্ষমা চাইতে হবে না, বরং তিনি জানুন এই গানের ইতিহাস।
এই মুহূর্তে বাংলাদেশে রয়েছেন সঙ্গীত শিল্পী কবীর সুমন। শুক্রবার সকালে ফেসবুক লাইভে আসেন শিল্পী। ফেসবুক লাইভে ‘লৌহ কপাট’ বিতর্কে তার অবস্থান স্পষ্ট করেন। লাইভের শুরুর দিকে ‘রোজা’ ছবির ‘দিল হ্যায় ছোটা সা’ গাইতে শুরু করেন সুমন। তারপর বাংলাদেশের এক শিল্পীর গাওয়া ‘যদি সুন্দর…’ গানটি গান। সঙ্গে হিন্দি সিনেমা ‘আয়ি মিলন কি বেলার’, ‘তুম তুম কমসিন হো’ গানটিও শোনান ভক্তদের। রহমানের তৈরি ‘দিল হ্য়ায় ছোটাসা’র সঙ্গে এই দুই গানের অদ্ভুত মিল খুঁজে পান সুমন। তিনি জানান, ‘রোজা’র এই গান শুনে তার ভালো লাগার কথা। এ আর রহমানের প্রতি তার অনুরাগের কথা। কিন্তু এই রহমানই ‘লৌহ কপাটে’র এমন সুর দিলেন! কবীর সুমন হতবাক!
সুমন বলেন, যারা গানের লিরিক দিলেন, তারা টাকা পেলেন। খুব ভালো কথা। টাকা সবার দরকার। এখানে কোনো অসুবিধা নেই। কিন্তু কেউ কি একবারও রহমানকে বলে দেননি, কোন গানের রিমেক তিনি করেছেন! এই গানের ইতিহাস রহমান জানেন?
কবীর সুমন আরও বলেন, গানের অর্থটা জানার চেষ্টা করেছেন রহমান? ধরে নিন, এটা কাজী নজরুল ইসলামের লেখা নয়। তবুও কি গানের কথাগুলোর মানে বোঝা উচিত ছিল না? লিরিক শুনেই তো সুরটা দিতে হবে। তবে আজকাল এমনই গান হচ্ছে। যা শুনলে মনে হয়, মিক্সারের ভিতর সিমেন্ট, পাথর সব একসঙ্গে ঘুরছে। লৌহ কপাটের রিমেকও তাই! তবে ইনিই তো দিল হ্যায় ছোটা সা তৈরি করেছিলেন, সেই মানুষটা লৌহ কপাটের এমন সুর দিলেন! কেউ কি ছিলেন না, যে লৌহ কপাটের ইতিহাস রহমানকে বলে দেবেন, যে এই গানটার সঙ্গে একটা জাতির সংগ্রাম জড়িয়ে রয়েছে।
বাংলাদেশের মানুষদের কাছে একটা আবেদনও রাখলেন শিল্পী। তিনি বলেন, যে দেশ নজরুল ইসলামকে জাতীয় কবি হিসেবে সম্মান দিয়েছে, দয়া করে তারা একটা সাংবাদিক বৈঠক করুন। রহমানের সঙ্গে দেখা করুন। তাকে লৌহ কপাটের ইতিহাসটা বলুন। রহমানকে বলুন, ক্ষমা চাইতে হবে না। শুধু ইতিহাসটা জেনে নিন।
এনএফ