মিতা হকের জীবনে সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি ছিলো যা
রোববার (১১ এপ্রিল) ভোরে না ফেরার দেশে চলে গেছেন একুশে পদকপ্রাপ্ত দেশের নন্দিত রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী, সংগঠক ও শুদ্ধ সংগীত চর্চার অন্যতম পুরোধা মিতা হক। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে অনেক খ্যাতি পেয়েছিলেন তিনি। পেয়েছিলেন মানুষের ভালোবাসা।
এক সাক্ষাৎকারে তার কাছে জানতে চাওয়ার হয় আপনার জীবনের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি কী? জবাবে মিতা হক বলেছিলেন, ‘মানুষের উচ্ছ্বাস, মানুষের ভালোলাগা। অচেনা দর্শক-শ্রোতার ভালোলাগা যেমনি আমাকে বিশেষ অনুভূতি দিয়েছে। তেমনি বড় বড় কিংবদন্তি—কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, নীলিমা সেন, সুমিত্রা সেন, দ্বিজেন মুখোপাধ্যায়, সূচিত্রা মিত্র, মানে ওই সময়কার শিল্পীরা কাছে এসে আমার গান শুনে যেভাবে খুশি হয়েছেন, মুগ্ধ হয়েছেন—এটাই আমার সবচেয়ে বড় পাওয়া।’
উল্লেখ্য, মিতা হকের জন্ম ১৯৬২ সালের সেপ্টেম্বরে ঢাকায়। তিনি প্রয়াত কিংবদন্তি অভিনেতা খালেদ খানের স্ত্রী। তার চাচা দেশের সাংস্কৃতিক আন্দোলনের অগ্রপথিক ও রবীন্দ্র গবেষক ওয়াহিদুল হক। মেয়ে জয়িতাও রবীন্দ্র সংগীতশিল্পী।
সংগীতে বিশেষ অবদানের জন্য ২০২০ সালে বাংলাদেশ সরকার মিতা হককে একুশে পদকে ভূষিত করে। এছাড়াও শিল্পকলা পদক, বাংলা একাডেমি রবীন্দ্র পুরস্কার, চ্যানেল আই রবীন্দ্র মেলা পুরস্কার এবং ভারত থেকে অনেক সম্মানজনক পুরস্কার পেয়েছেন তিনি।
আরআইজে