মা-বাবা, ভাই-বোন কেউ ছিল না হিমুর
রাজধানীর উত্তরায় নিজ বাসায় অভিনেত্রী হুমায়রা হিমুর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের পরই তার পরিবার, আত্মীয় স্বজনদের নিয়ে প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরেই উত্তরাতে থাকতেন হিমু। গত কয়েক বছর ধরে তার বাসায় মিহির নামের একজন মেকআপম্যান সঙ্গে থাকতেন। তিনিই অভিনেত্রীর দেখাশোনার দায়িত্ব পালন করতেন।
বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান হওয়ায় হিমুর কোনো ভাই-বোনও ছিল না। ২০২০ সালে হিমুর মা শামীম আরা চৌধুরী করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান। এরপর বাবা প্রকৌশলী সানা উল্লাহ গত আগস্ট মাসে মারা যান।
আরও পড়ুন
হিমুর মামা ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সাবেক পরিচালক মঈন উদ্দিন চৌধুরী বলেন, হিমুর বাবা-মা কেউই বেঁচে নেই। হিমু বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। তার বাবা প্রকৌশলী সানা উল্লাহ গত আগস্ট মাসে মারা যান। মা শামীম আরা চৌধুরী ২০২০ সালে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। হিমুর মরদেহ তার মায়ের কবরের পাশেই সমাহিত করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ১৯৮১ সালে চাঁদপুরের মতলব উপজেলার বাসিন্দা সানা উল্লাহর সঙ্গে হিমুর মায়ের বিয়ে হয়। হিমুর জন্মের পরেই তার বাবা-মায়ের ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। এরপর থেকেই হিমুকে নিয়ে তার মা লক্ষ্মীপুরে থাকতেন। কখনো দাদার বাড়িতে যাওয়া হয়নি তার।
লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জাহিদুজ্জামান চৌধুরী রাসেল বলেন, হিমুর জন্ম আমাদের এলাকায়। লামচরী তার নানার বাড়ি। দীর্ঘদিন এখানে থাকার পরে মা-মেয়ে ঢাকায় চলে যান। এখানে তাদের বাড়িঘর কিছুই নেই। লক্ষ্মীপুর আসলে নানা বাড়িতেই থাকতেন।
আরও পড়ুন
এর আগে বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) বিকেলে নিজ বাসা থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধারের পর নিথর হিমুকে উত্তরার আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায় প্রেমিক জিয়াউদ্দিন ও মেকআপ আর্টিস্ট মিহির। তখনই কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় হিমুর মামা নাহিদ আক্তার রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলা করেন। মামলায় মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন রাফিকে আসামি করা হয়েছে। এতে র্যাব আসামিকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে।
এনএইচ