সানির চড় খাওয়ার ভয়ে ছিলেন ইমতিয়াজ
‘গদর ২’-এর সাফল্যে এখন বেশ আলোচনায় রয়েছেন বলিউড অভিনেতা সানি দেওল। বক্স অফিসে প্রায় ৫০০ কোটির ব্যবসা করেছে এই সিনেমা।
পর্দায় সানির ‘অ্যাংরি ইয়াং ম্যান’ অবতার দেখতে প্রেক্ষাগৃহে ভিড় জমিয়েছিলেন দর্শক। বাস্তবের সানি অবশ্য এত রগচটা নন। তার পরও তার ভয়ে কাঁটা হয়ে থাকতেন পরিচালক ইমতিয়াজ আলি।
‘জাব উই মেট’, ‘লাভ আজ কাল’, ‘রকস্টার’, ‘তামাশা’-র মতো সিনেমার মাধ্যমে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন ইমতিয়াজ। তবে পরিচালক হিসাবে তার পথচলা শুরু ‘সোচা না থা’ সিনেমার মাধ্যমে। সেই সিনেমাতে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন অভয় দেওল ও আয়েশা টাকিয়া। ইমতিয়াজ় জানান, ওই সিনেমা নিয়ে কথাবার্তা চলাকালীনই নাকি সানির সঙ্গে পরিচয় হয় তার।
এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, সানি জানতে পেরেছিলেন, অভয় আমার সিনেমার জন্য সায় দিয়েছেন। তিনি তখন আমাকে ডেকে জিজ্ঞাসা করেন, কী সিনেমা বানাচ্ছি আমি। সানিই তখন আমাকে বলেন, আগে আমি দেখব কী সিনেমা হচ্ছে, আমি সায় দিলে তবেই হবে। আমি প্রযোজনা করব সিনেমার। আমি তো ভয় পাচ্ছিলাম।
ইমতিয়াজ আরও বলেন, সানির সঙ্গে সাক্ষাতের আগে তার বন্ধুরা নাকি তাকে সাবধানও করেছিলেন। ইমতিয়াজ়ের কথায়, আমার বন্ধুরা আমাকে বলছিল, তিনি যদি তোকে থাপ্পড় মেরে দেন! আমার তো শুনে দুশ্চিন্তা হয়ে গিয়েছিল।
এক সময় বেশ রগচটা ছিলেন সানি। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অভিনেতা জানান, অভিনয় জীবনের প্রথম দিকে নিজের রাগ নাকি কিছুতেই নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারতেন না তিনি। এমনকি, গাড়িতে ধাতব রড, হকি স্টিক নিয়ে শহরে ঘুরে বেড়াতেন তিনি। সানির কথায়, আমি জীবনের প্রচুর ঝামেলা, মারামারি করেছি। তখন তো আমরা প্রায় গ্যাংয়ের মতো!
নিজেদের উদ্দাম যৌবনের গল্প বলতে গিয়ে সানি আরও বলেন, এক বার একটা ক্রিকেট ম্যাচ দেখতে গিয়েছিলাম। সেখানে গ্যালারির দর্শক জানতে পারে যে, আমি ধর্মেন্দ্রর ছেলে। তারা আমাকে র্যাগ করা শুরু করে দিয়েছিল। আমার দিকে ওরা সিগারেট পর্যন্ত ছুড়ছিল। আমার মাথা গরম হয়ে গিয়েছিল তখন। সর্দারের রক্ত তো! আমিও হকি স্টিক ঘোরাতে শুরু করেছি তখন। কে মার খাচ্ছে, কার কোথায় লাগছে, আমার তখন নজরই নেই।
এনএফ