হাসপাতালের বিছানা থেকেই ক্ষোভ প্রকাশ পরীমণির
বেশ কয়েকদিন ধরেই অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়িকা পরীমণি। নিজের জীবনের কঠিন এই সময়ে কিছু বিষয় উপলব্ধি করেছেন তিনি। সেইসঙ্গে শুভাকাঙ্খী ও সুবিধাবাদীদের মধ্যে পার্থক্যও ধরতে পেরেছেন এই অভিনেত্রী।
সোমবার (দিবাগত) রাতে এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে পরীমণি লিখেছেন, সুস্থ থাকার মতো বড় নেয়ামত আর কিছু নাই সত্যিই! তবে মাঝে মধ্যে ছোটখাটো অসুখ বা বিপদ না আসলে জীবনের আসল শুভাকাঙ্ক্ষী বা কাছের মানুষ চিনতে পারবেন না।
এরপর সুবিধাবাদী মানুষদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে এই নায়িকা লেখেন, একটা সময় অনেকের মতো আমারও মনে হতো কারোর কাছে আমার কোনো এক্সপেক্টেশন নাই বা সেটা রাখার দরকারও নাই। ‘এক্সপেক্টেশন যত কম জীবন তত সুন্দর’ বিশ্বাস করেন এই কথাটা একটা বেহুদা কথা। আপনার আত্মীয়-স্বজনদের আপনি নিশ্চয়ই আপনার খারাপ সময়ে পাশে চাইবেন। অন্তত কেমন আছো জিজ্ঞেস করুক, এতটুকুই অনেক কিছু মিন করে কখনো জীবনে।
কিছু মানুষের আচারণে বর্তমানে নিজেকে ‘সেলফিশ’ বানানোর চেষ্টা করছেন জানিয়ে পরী লিখেছেন, আমি মোটেও সেলফিস ধরনের মানুষ না। তবে গত দুই-এক বছর যাবত ‘যে যেমন আমি তেমন’ লোক হওয়ার চেষ্টা করতেছি। এই চেষ্টায় এবারের দৌড়টা বেশ লম্বাই হলো বলা যায়। জীবনে আজাইরা, ফাও এবং সুবিধাবাদীদের যত ঝেড়ে ফেলা যায় জীবন তখনই সুন্দর।
নিজের স্টাফরাই এখন তার পরিবার জানিয়ে এই নায়িকা লেখেন, আমি আমার স্টাফদের যত্ন, ভালোবাসা, আন্তরিকতার কাছে ঋনী। এরাই আমার পরিবার।
এর আগে জ্বর নিয়ে গত বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) হাসপাতালে ভর্তি হন পরীমণি। সেসময় এই নায়িকা জানান, কয়েক দিন ধরেই অসুস্থবোধ করছিলেন তিনি। এরপর বৃহস্পতিবার সকালে হাসপাতালে যান চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে। সেখানে পরীক্ষা–নিরীক্ষা শেষে চিকিৎসক তাকে হাসপাতালে ভর্তি হতে বলেন।
এরপর গত ৪ দিন ধরেই হাসপাতালে ভর্তি আছেন পরীমণি। এখনও সেখানেই চিকিৎসা নিচ্ছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে একটি সংবাদমাধ্যমকে এই নায়িকা বলেন, ‘ঠান্ডাটা কোনোভাবেই কমছে না। ৪ দিন ধরে হাসপাতালে আছি। সকলের কাছে দোয়া চাই’।
অসুস্থতার আগে মাতৃত্বকালীন ছুটি কাটিয়ে সম্প্রতি শুটিংয়ে ফিরেছিলেন পরীমণি। ‘ডোডোর গল্প’ সিনেমার মাধ্যমে শুটিংয়ে ফেরেন তিনি। গত ৮ অক্টোবর দীর্ঘ দুই বছর পর লাইট ক্যামেরার মুখামুখী হন এই অভিনেত্রী। এর কাহিনি, চিত্রনাট্য, সংলাপ ও পরিচালনায করছেন কথাসাহিত্যিক ও নির্মাতা রেজা ঘটক।
এনএইচ