গায়িকা থেকে নায়িকা জেফার
সবাই তাকে চিনত একজন সংগীতশিল্পী হিসেবেই। এবার অভিনয়ে নাম লেখালেন ‘ঝুমকা’ খ্যাত গায়িকা জেফার রহমান। তার বিপরীতে দেখা যাবে জনপ্রিয় অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরীকে।
দেশীয় ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকির ‘মিনিস্ট্রি অব লাভ’ প্রকল্পের আওতায় নির্মিত ‘লাস্ট ডিফেন্ডার অব মনোগামী’ সিনেমার হাত ধরে অভিনয়ে অভিষেক ঘটছে জেফারের। সিনেমাটি নির্মাণ করছেন প্রখ্যাত নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
প্রথমবার সিনেমায় অভিনয় প্রসঙ্গে জেফার বলেন, “সংগীতশিল্পী হিসেবে আগেও পর্দায় হাজির হয়েছি। কিন্তু ‘মনোগামী’র মাধ্যমে প্রথমবারের মতো অভিনেতা হিসেবে পর্দায় আসব। বিষয়টি আমার জন্য অনেক আনন্দের, একই সঙ্গে চ্যালেঞ্জিংও। মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর সিনেমায় অভিনয় করতে পারা ও সহ-অভিনেতা হিসেবে চঞ্চল চৌধুরীকে পাওয়া আমার জন্য কিছুটা চাপের। পাশাপাশি ভীষণ রোমাঞ্চকরও বটে।”
গায়িকা থেকে সরাসরি নায়িকা বনে যাওয়া জেফারকে নিয়ে নির্মাতা ফারুকী বলেন, ‘জেফার রহমানকে আমরা সংগীতশিল্পী হিসেবে চিনি। এখানে তাকে অচেনাই লাগবে। কিন্তু এই চরিত্রে তাকে পাওয়ার ফলে আমার গল্পটা প্রাণবন্ত হয়েছে।’
সিনেমাটি নিয়ে এ নির্মাতা বলেন, “আমার প্রিয় একটা কাজ হচ্ছে মানুষের মনের ভেতর ছিপ ফেলে দেখা কী ধরা পড়ে? ছোট-বড়, তুচ্ছ গুরুত্বপূর্ণ সবই আমাকে নাড়া দেয়। ‘মনোগামী’তে অনেক দিন পরে মেল-ফিমেল রিলেশনশিপের কিছু দিক নিয়ে এই রকম ছিপ ফেলার সুযোগ পেয়েছি। ‘ব্যাচেলর’ সিনেমায় ব্যাচেলর জীবনের কিছু দিক কোনোরকম রাখঢাক ছাড়া দেখাতে পেরেছিলাম। এখানে বিবাহিত এবং প্রবাহিত জীবনের কিছু দিক কোনো সুইট কোটিং ছাড়া দেখানোর সুযোগ পেয়েছি।”
ছবি ও নিজের চরিত্র নিয়ে চঞ্চল চৌধুরী বলেন, “ফারুকী ভাইয়ের সঙ্গে আমার ২০০৫ থেকে কাজের শুরু, এখন ২০২৩। আমার ক্যরিয়ারের টার্নিং পয়েন্ট ছিল সেই কাজটি। আর এবার ‘মনোগামী’ সিনেমার গল্পটাই একদম আলাদা। সিনেমায় কিছু মনস্তাত্ত্বিক দিক আছে যা দর্শককে ভাবাবে। আর এখানে আমার চরিত্রের লুক, গেটআপ একদম ভিন্ন থাকবে।”
সংগীতশিল্পী জেফার রহমান তার ভিন্ন ধারার গান এবং ফ্যাশন স্টেটমেন্টের জন্য সবার নজর কেড়েছেন। যদিও এর আগে তিনি ‘ন ডরাই’ চলচ্চিত্রের সঙ্গে একজন প্রযোজক হিসেবে যুক্ত ছিলেন। করেছেন প্লেব্যাকও। এবার সরাসরি চলচ্চিত্র অভিনয়ে যুক্ত হলেন জেফার।
কেএইচটি