লাইভে পুরো সময় কাঁদলেন অভিনেত্রী
সম্প্রতি বাবাকে হারিয়েছেন ছোটপর্দার অভিনেত্রী লারা লোটাস। সেই শোক এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেননি তিনি। শুক্রবার নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে লাইভে হাজির হন অভিনেত্রী। যেখানে ৩৮ মিনিটের লাইভের পুরো সময়ই তাকে কাঁদতে দেখা গেছে।
লারা বলেন, আমি এতিম হয়ে গেছি। আমার ছোট বোন আছে, বড় ভাই আছে। যাক তারপরও নাকি বলতে হয়- আল্লাহ যা কিছু করেন ভালোর জন্যই করেন।
প্রয়াত বাবার স্মৃতিচারণায় লাইভে প্রতিমুহূর্তেই কাঁদতে থাকেন তিনি। বলতে থাকেন, বাবার হাসিমুখ বারবার চোখের সামনে ভাসছে। বাবা অনেক হাসতেন। বাবার হাসি ছাড়া কোনো ছবি নেই। এবার হাসপাতালে ভর্তির সময়ে বুঝতে পারছিলাম, বাবা আর বাড়ি ফিরবেন না। সকালে হাসপাতালে গেলাম। ১২টার দিকে বাবাকে সিসিইউতে নেওয়া হয়। তখনই আমার বুকটা ভেঙে যায়।
অভিনেত্রী বলেন, আব্বু দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন। তবে আব্বুর কিডনিতে কোনো সমস্যা ছিল না। ভুল চিকিৎসা দিয়ে আমার বাবাকে মেরে ফেলেছে। এটা আসলে সহ্য করার মতো ক্ষমতা আমাদের কোনো ভাইবোনের নেই।
লারা বলেন, আব্বু ছাড়া আমার পৃথিবীটাই অন্ধকার। অনেকেই বলছেন, আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু দিনদিন আমি আব্বুর অভাব আরও বেশি ফিল করছি। আব্বু যে সময়টা থেকে নেই, সেই সময় থেকে এখন পর্যন্ত একরকম হাহাকার লাগছে। যারা আমাকে পৃথিবীতে এনেছেন, তারাই কাছে থাকবেন না, এটা কি কখনো হয়?
ক্যারিয়ারে বাবার অবদানের কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন লারা। তিনি বলেন, আমার জীবনে এমন খুবই কম হয়েছে, কেউ বলছেন, লারাকে একটা কাজ দিই। ও একসময় অনেক কাজ করেছে, তার পাশে এখন দাঁড়াই। এই সময়ে বাবা আমাকে সবচেয়ে বেশি সাপোর্ট করেছেন। কখনো মন খারাপ হলে বুঝতে পেরেছেন। আমি বড় গলায় বলতাম, বাবা হচ্ছে বটবৃক্ষ, বাবা ছায়া। সেই ছায়া সরে গেল। বাবা ছাড়া আমাদের ভাইবোনের কাছে পৃথিবীটা অন্ধকার।
লারা বলেন, এই বিপদে পড়ে কাছের মানুষদের চিনেছি। বিপদে বন্ধুর পরিচয়, এটা আরও ভালো করে শিখলাম। জীবনে চলতে হলে এই শেখাটাও দরকার আছে। আপনারা আমার বাবার জন্য দোয়া করবেন। সবাই মা-বাবার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হোন। মা-বাবাকে ভালোবাসুন। তাদের কখনো কষ্ট দেবেন না। তারাই আপনার জীবনের সেরা গিফট।
এনএইচ