আপনারাই আপন হলেন না, আক্ষেপ তমা মির্জার
পাইরেসির কবলে পড়েছে ঈদে মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘সুড়ঙ্গ’। অনলাইনে বিভিন্ন প্লাটফর্মে ছবিটির হল প্রিন্ট দেখা যাচ্ছে বিনামূল্যে। যা ক্ষতিগ্রস্থ করেছে সিনেমা সংশ্লিষ্টদের।
বুধবার রাতে এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে ‘সুড়ঙ্গ’ পাইরেসি হওয়া প্রসঙ্গে আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন নায়িকা তমা মির্জা। তিনি লিখেছেন, আমাদের সিনেমাটা পাইরেসি করে দিলো কই সেটা নিয়েতো কাউকে স্ট্যাটাস দিতে দেখলাম না। আচ্ছা অন্য সিনেমা তো এমন ভয়াবহভাবে পাইরেসি হয়ে সেটা ছড়িয়ে পড়তে দেখলাম না। যদিও আমাদের টিম দিন নেই রাত নেই এটা নিয়েই কাজ করে যাচ্ছে।
এরপর তমা প্রশ্ন রেখে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে আমাদের ছবিটি এতো ভালো ব্যবসা করছে কই সেটা নিয়ে তো স্ট্যাটাস দিচ্ছেন না, কলকাতায় কি হচ্ছে না হচ্ছে সঠিক তথ্য না জেনে সেটা নিয়ে রসালো স্ট্যাটাস দিচ্ছেন? যখন মুক্তির প্রথম দুইদিন কলকাতায় আমাদের সিনেমা ভালো গেলো সবাই প্রশংসা করা শুরু করলো আর ঠিক তার পরপরই সিনেমাটি পাইরেসি হয়ে গেলো? তখনও চুপ কেনো আপনারা?
এরপর নায়িকা লেখেন, এটা জানেন তো পাইরেসি আমাদের দেশ থেকেই হয়েছে। তারপর বৃহৎ আকারে ভাইরাল করে দেওয়া হয়েছে। এটা নিয়ে অন্তত কিছু বলেন। নাকি বলা বারণ? আরে ভাই আপনারাই আপন হলেন না আবার চান পাশের দেশ আপন হয়ে আমাদের সিনেমা দেখে অজ্ঞান হয়ে পড়ে যাক?
সর্বশেষ তমা বললেন, দেশের বাইরে ‘সুড়ঙ্গ’ অনেক ভালো যাচ্ছে, সামনে আরো ভালো যেতো আর সেটার পুর্বাভাস পেয়েই হয়তো এই পাইরেসি! যাই হোক ভাইরা এবার একটু থামেন। আর দোয়া করেন যে কষ্ট আমাদের টিম পেলো আর যে ক্ষতি আমাদের হয়েছে বাকি সিনেমাগুলোর যেনো না হয়। পাইরেসি বন্ধ করা এখন সবচেয়ে জরুরী। কারণ আমাদের সিনেমা আমাদের সম্পদ আমাদের গর্ব।
এদিকে ‘সুড়ঙ্গ’ সিনেমার পাইরেসির সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন নির্মাতা রায়হান রাফি।
বুধবার রাতে এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে এই নির্মাতা লেখেন, একটা ফিল্মকে পাইরেসি করা হলো পরিকল্পনা করে। শুরুতেই ছেড়ে দেয়া হলো গুরুত্বপূর্ণ দৃশ্যগুলো। তারপর নিজেদের লোক দিয়ে ফেসবুক, ইউটিউবে সেটা ভাইরাল করে দেওয়ার চেষ্টা হলো। এরপর এখন তো পুরো সিনেমাই।
বাংলাদেশ থেকেই এই কাজটি করা হয়েছে দাবি করে রাফি লেখেন, শুরুতে ভারতীয় বিজ্ঞাপন জুড়ে দেওয়া হলো যেন মনে হয় ভারত থেকে পাইরেসি হয়েছে। কিন্তু পাইরেসি হয়েছে বাংলাদেশের ভার্সন। সিনেমার দুই দেশের ভার্সনে কী কী ফারাক, সেগুলো আর কেউ না জানলেও আমরা তো জানি। একটি সুনির্দিষ্ট চক্র সুড়ঙ্গের পেছনে লেগেছে, তাদের কারণে পাইরেসির শিকার হয়েছে সুড়ঙ্গ।
এই নির্মাতার ভাষ্য, এই পাইরেসি কারা করেছে, তা আমরা চিহ্নিত করছি। এটা বাংলাদেশ থেকেই হচ্ছে। আমাদের সাথে আইনি সংস্থাগুলোও কাজ করছে। এই ভিডিওগুলো যারা অনলাইনে ছড়িয়েছে; ফেসবুক, ইউটিউব, টেলিগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ, বিভিন্ন সাইটে আপলোড করেছে কিংবা শেয়ার করেছে- তাদের সবার বিরুদ্ধে লিগ্যাল অ্যাকশন নেওয়া হচ্ছে। পাইরেসি শাস্তিযোগ্য অপরাধ এবং এই অপরাধের শাস্তি অপরাধীদের পেতেই হবে। আমরা সেটা নিশ্চিত করবোই।
এনএইচ