‘মাসুদ’র গেটআপ অনেকটা আমার বাবার মতো: নিশো
এবারের ঈদে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘সুড়ঙ্গ’ সিনেমা দিয়ে প্রথমবারের মতো বড় পর্দায় অভিষেক ঘটে ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা আফরান নিশোর। এতে ‘মাসুদ’ চরিত্রে অভিনয় করেন তিনি। গতকাল (মঙ্গলবার) রাতে নিজের জন্মভূমি টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে আসেন অভিনেতা। এ সময় তাকে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
প্রথমবারের মতো সিনেমায় অভিনয় করছেন, তা যেন নিশো ভক্তরা দেখতে পারেন সেজন্য ভূঞাপুর স্বাধীনতা কমপ্লেক্সে অস্থায়ী হল তৈরি করে স্থানীয় কয়েকজন যুবক। আয়োজকদের আমন্ত্রণে এদিন পুরো ‘সুড়ঙ্গ’ টিম নিয়ে হাজির হন নিশো।
কথা বলতে গিয়ে প্রয়াত বাবাকে স্মরণ করে স্মৃতিকাতর হয়ে পড়েন এ অভিনেতা। নিশো বলেন, “জন্মভূমির শেকড়টা ভুলতে চাই না কখনো। টাঙ্গাইলে আসলেই আমার ভাষা টাঙ্গাইলের মতো হয়ে যায়। এছাড়া আমার কাজের মধ্যেও এই ভাষাটা দেওয়ার চেষ্টা করি। ‘সুড়ঙ্গ’ সিনেমাটিতে মাসুদের যে চরিত্রের গেটআপ সেটা অনেকটা আমার বাবার মতো, এটা কাউকে বলা হয়নি। আমার বাবা দেখতেও অনেকটা ওইরকম ছিলেন। আমার মা বলেছেন যে, তোমাকে দেখতে একদম তোমার বাবার মতো লাগতেছে। ভূঞাপুর আমার জন্মস্থান। সবসময় এখানে আসতাম। তবে মাঝে মাঝে গভীর রাতে বাবার কথা মনে হলেই গাড়ি চালিয়ে গ্রামে গিয়ে বাবার কবর জিয়ারত করে চলে যাই। তবে কাউকে বলি না।”
এ অভিনেতা আরও বলেন, ‘একসময় ভূঞাপুরে দুইটা সিনেমা হল ছিল। কিন্তু বর্তমানে একটাও নেই। তারপরও আমার জন্মস্থানে আমার ভক্তরা অস্থায়ী সিনেমা হল বানিয়ে সিনেমা দেখার সুযোগ করে দিয়েছে তার জন্য আমি সারা জীবন কৃতজ্ঞ থাকব। কোথাও আগে শুনিনি যে, এইভাবে অস্থায়ী সিনেমা হল তৈরি করেছে। আমার এলাকাবাসী আমার জন্য করেছে। আজকে বড় পর্দায় কাজ করছি কিন্তু আজকে আবার বাবা থাকলে অন্যরকম হতো। সে যে কত খুশি হতো।’
ভূঞাপুরে সিনেমা হল নির্মাণের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা থাকবে জানিয়ে নিশো বলেন, ‘আমি ছোট থেকেই আস্তে আস্তে কাজ করতে করতে নিজের যোগ্যতায় একটা জায়গায় এসেছি। এখন অনেকেই আমাকে চেনে। আমি বিভিন্ন চরিত্রে কাজ করতে পছন্দ করি। ভূঞাপুরে সিনেমা হল নির্মাণে সব্বোর্চ চেষ্টা করা হবে। যেখানে যেখানে যাওয়া দরকার যাব। সিনেমা হল আমরা বানাইয়া ছাড়ব।’
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌরসভার মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুদুল হক মাসুদ বলেন, ‘আমি ও ভোলা ভাই যে অভিনেতা আফরান নিশোর বাবা একসাথে রাজনীতি ও মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম। আজকে ভোলা ভাই থাকলে আরও শান্তি পেতেন তার ছেলের সাফল্য দেখে। নিশো তার কর্ম দিয়ে সারা বাংলাদেশের মানুষের হৃদয় জয় করুক।’
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌরসভার মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুদুল হক মাসুদ। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক সাহিনুল ইসলাম তরফদার বাদল, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম বাবু, জেলা পরিষদের সদস্য খায়রুজ্জামান তালুকদার বাবলু প্রমুখ।
অভিজিৎ ঘোষ/কেএইচটি