বিদ্যা বালান নিজেকে অপছন্দ করতেন কেন?
বলিউডের অন্দরমহল নিয়ে স্পষ্ট মন্তব্য করতে জুড়ি নেই বিদ্যা বালানের। কঙ্গনা রানাওয়াতের মতো বিতর্ক সৃষ্টি করেন না ঠিকই, তবে কাস্টিং কাউচ নিয়ে স্পষ্ট ইঙ্গিত দিয়েছেন একাধিকবার। যার শিকার হয়েছেন অভিনেত্রী নিজেও। তথাকথিত অভিনেত্রীর যে সংজ্ঞা সাধারণ মানুষের মস্তিষ্কে গেঁথেছিল তা হলো- দেখতে সুন্দর, ফর্সা, স্লিম, লম্বা, টিকালো নাক বিশিষ্ট নারী। যদিও বিদ্যা বালান ক্যারিয়ার যখন শুরু করেছিলেন এর অধিকাংশ বৈশিষ্ট্যই তার মধ্যে ছিল। একটা সময়ের পর তার স্বাস্থ্য বাড়তে থাকে। যা নিয়ে বলিউডে বিভিন্ন সময় কটাক্ষের শিকার হতে হয়েছে অভিনেত্রীকে।
তবে প্রথম থেকেই এই লড়াকু মানসিকতা তার ছিল না। যার ফলে একটা সময় নিজেকেই নিজে ঘৃণা করতেন বিদ্যা বালান। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের চেহারা দেখতে মোটেই তার পছন্দ হতো না। তিনি নিজেই নিজেকে বিচার করা শুরু করেছিলেন। যদিও এই মানসিক যন্ত্রণা খুব বেশিদিন ভোগ করতে হয়নি তাকে। একটা সময়ের পর তিনি প্রমাণ করেছিলেন এই চেহারা নিয়ে তিনি একাই একটি ছবিকে টেনে নিয়ে যেতে পারেন। তার ছবি চলার জন্য তথাকথিত কোনো হিরোর প্রয়োজন হয় না। আর এখন তিনি প্লাস সাইজ নিয়ে বেজায় খুশি।
সবাইকে একবাক্যে উপদেশ দিয়ে থাকেন, নিজের শরীর সুস্থ রাখাটা জরুরি। কেমন দেখতে লাগছে, শরীরের গঠন কেমন, তার থেকে অনেক বেশি প্রয়োজন ভেতর থেকে ভালো থাকা। যদি কেউ ভেতর থেকে সুস্থ থাকে তবে তিনি মোটা হন কিংবা চিকন, কোনো কিছুতেই প্রভাব ফেলে না। কেবল মুখে নয়, নিজের কাজ দিয়ে এ সত্য প্রমাণ করে দিয়েছেন বিদ্যা বালান।
একবার খোদ সালমান খানই তাকে কটাক্ষ করেছিলেন। তাকে নিয়ে সিনে দুনিয়াতেও ট্রোল হয়েছে নিত্য। আজ সেসব অতীত। বর্তমানে চুটিয়ে কাজ করছেন অভিনেত্রী। একের পর এক ছবি মুক্তি পাচ্ছে তার। আর বক্স অফিসে অন্যান্যদের টেক্কা দিয়ে ঝড়ের গতিতে এগিয়ে যাচ্ছেন তিনি। তার ছবিতে তিনি একাই একশো। যে কারণে এখন বিদ্যা বালান এক অনুপ্রেরণার নাম।