চিকিৎসক মেয়ের জামাই হিসেবে মেনে নিতে চায়নি শ্বশুরবাড়ি: চঞ্চল
দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। ব্যক্তিগত জীবনে বিয়ে করেছেন পেশায় চিকিৎসককে। তার স্ত্রীর নাম শান্তা চৌধুরী।
বিয়ের পর ১৬ বছরের দাম্পত্য জীবন পার করেছেন এই জুটি। যদিও চঞ্চল মনে করেন, ১৬ বছরের দাম্পত্য জীবনে তিনি সংসার করতে পেরেছেন কেবল ৩ বছর।
সম্প্রতি এক সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে স্ত্রী শান্তার সঙ্গে আলাপের শুরু, প্রেম, বিয়ে সব বিষয়েই কথা বলেছেন অভিনেতা।
চঞ্চল বলেন, ‘শান্তার সঙ্গে আমার আলাপ হয় ২০০৫ সালে। সে সময় কেবলই গ্রামীণ ফোনের বিজ্ঞাপন করে পরিচিতি পেতে শুরু করেছিলাম। আমার বড় ভাই পুরান ঢাকায় ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে শিক্ষকতা করেন। আর শান্তা ছিলেন তার ছাত্রী। ওই সময়ে আমার বাবা একবার অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। সেখানে আমি বাবাকে দেখতে যাই। তখনই আমাকে দেখেছিল শান্তা। এরপর সে আমার ফোন নাম্বার জোগাড় করে কল দিয়ে কথা বলা শুরু করেন।
অভিনেতা বলেন, ‘এরপর মধ্যবিত্ত পরিবারের আর পাঁচজন বাবা-মায়ের মতো আমার বাবা-মাও বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছিলেন। তখনই একদিন শান্তাকে জিজ্ঞেস করি-‘তুমি কি আমাকে বিয়ে করবে?’ শান্তাও রাজি হয়ে যায়। ব্যস, এরপর আর সময় নষ্ট না করে বিয়ে করে ফেলি আমরা।’
তবে এই বিয়েতে চঞ্চলের বাবা খুশি হলেও নারাজ ছিলেন শান্তার বাবা-মা। তারা ডাক্তার মেয়ের জন্য ডাক্তার পাত্রই খুঁজছিলেন। অভিনেতার কথায়, প্রথমদিকে শ্বশুরবাড়িতে তাকে মেনে না নিলেও পরে শ্বশুর মারা যাওয়ার পর জামাই হিসেবে শাশুড়ি মেনে নেন।
অভিনেতার স্বীকারোক্তি, ১৬ বছর আগে বিয়ে করলেও তিনি সংসার করেছেন মাত্র ৩ বছর। সেটাও আবার করোনাকালে। সেসময় স্ত্রী, সন্তানের সঙ্গে সময় কাটিয়েছেন। বাকি বেশিরভাগ সময় শ্যুটিং আর কাজে বাইরে থাকতে হয়েছে তাকে। বাড়ির জুতা সেলাই থেকে চণ্ডীপাঠ, সমস্ত দায়িত্ব সামলান চিকিৎসক স্ত্রী শান্তা।
এনএইচ