জুলফিকার রাসেলের কথায় এ আর রহমান চমক
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে গান করেছেন অস্কারজয়ী সংগীত পরিচালক, গায়ক এ আর রহমান। বিশ্বনন্দিত এই গায়কের কণ্ঠে ‘বলো জয় বঙ্গবন্ধু’ শিরোনামে হিন্দি ভাষার গানটি লিখেছেন বাংলাদেশের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারজয়ী গীতিকবি জুলফিকার রাসেল।
বাংলাদেশ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীকে ঘিরে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে আয়োজিত ১০দিনের ‘মুজিব চিরন্তন’ উৎসবের শেষ দিনের সেরা চমক ছিল এই গানটি। করোনার কারণে এ আর রহমান অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত থাকলেও সরাসরি উপভোগ করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি! উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অন্য অতিথিদের সঙ্গে এই স্মরণীয় মুহূর্তের সাক্ষী হয়েছিলেন গানটির রচয়িতা গীতিকবি জুলফিকার রাসেলও। গানটি নিয়ে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করেছেন তিনি।
জুলফিকার রাসেল বলেন, ‘এই মুহূর্তের কথা মুখে বলে বা লিখে প্রকাশ করতে পারব না। কীভাবে এতকিছু হয়ে গেল, টেরই পাইনি। এতো বড় একটি উৎসবে আমার লেখা গান। যেখানে আমাদের প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে অতিথি হয়ে এলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই অনুষ্ঠানে আমার কথায় গান বেজে ওঠল এ আর রহমানের কণ্ঠ-সুরে! ভালোলাগার মাত্রাটা আকাশ ছুঁয়ে গেছে।’
এদিকে গানটি প্যারেড গ্রাউন্ডে বাজার পর থেকে নেট দুনিয়ায় ভাইরাল। গানটির শুরু বাংলায়, ‘আমার সোনার বাংলা’ বাক্যটি দিয়ে। এরপর থেকে প্রশংসায় ভাসছেন এ আর রহমান আর শুভেচ্ছায় ডুবে যাচ্ছেন জুলফিকার রাসেল। বাংলাদেশের জন্য এ আর রহমানের তৈরি এটাই প্রথম কোনও গান।
তবে জুলফিকার রাসেল জানিয়েছেন একটি নয়, তার কথায় এ আর রহমান আরও একটি গান তৈরি করে রেখেছেন। সেটিও দেশাত্মবোধক। সেই গানটি বাংলা ভাষায়! ‘আজও শুনি বজ্রধ্বনি’ শিরোনামের এই গানটিও প্রকাশ করা হবে মুজিববর্ষেই, বিশেষ একটি জাতীয় আয়োজনে।
এ আর রহমানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার অভিজ্ঞতা সম্পর্কে জুলফিকার রাসেল বলেন, ‘তিনি যেমন বিশ্বমানের কম্পোজার, তেমনই বিনয়ী একজন মানুষ। উনাকে দেখে শিখলাম, বড় হতে চাইলে কতোটা বিনয়ী হতে হয়।’
এখানেই শেষ নয় জুলফিকার রাসেলের গীতিকবিতার চমক। একই উৎসবে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর থিম সঙ লিখেছেন তিনি। সাজিদ সরকারের সুর-সংগীতে গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন বিভিন্ন প্রজন্মের ৫০ জন শিল্পী। এই গানটিও শেষ দিনের মঞ্চে পরিবেশন করা হয় দুই প্রধানমন্ত্রীর সামনে।
উৎসবের দ্বিতীয়দিন পাভেল অরীনের সুর-সংগীতে জুলফিকার রাসেলের লেখা আরেকটি গান মঞ্চে পরিবেশন করেন অদিতি মহসিন, শারমিন সুমী, লিংকন ডি কস্তা ও তাশফী। এই আয়োজনের জন্য লেখা তিনটি গানের জন্যই প্রশংসার জোয়ারে ভাসছেন জুলফিকার রাসেল।
আরআইজে