না ফেরার দেশে জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী সারদা
মারা গেছেন হিন্দি সিনেমার জনপ্রিয় গায়িকা ও সুরকার সারদা রাজন আয়েঙ্গার। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর। দীর্ঘদিন ধরে ক্যানসারে ভুগছিলেন এই সংগীতশিল্পী।
১৯৩৭ সালে তামিল পরিবারে জন্ম হয় সারদার। রাজ কাপুরের হাত ধরে বলিউডে পা রাখেন তিনি। সংগীত পরিচালক জুটি শঙ্কর-জয়কিশানের সঙ্গে রাজ কাপুরই পরিচয় করিয়েছিলেন সারদার। ১৯৬৬ সালে মুক্তি পাওয়া ‘সূরজ’ ছবির ‘তিতলি উড়ি’ গানের জন্য জনপ্রিয় হয়েছিলেন তিনি। ‘সূরজ’ ছবিতে প্লেব্যাকের মাধ্যমেই গানের জগতে পথচলা শুরু করেন এ গায়িকা।
সারদা যে সময়ে ক্যারিয়ার গড়েন সেই সময়ে লতা মঙ্গেশকর ও আশা ভোসলের মতো শিল্পীরা দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন বলিউডে। তাদের মধ্যেও নিজের স্বতন্ত্র অবস্থান তৈরি করে নিয়েছিলেন সারদা। সমালোচকদের মতে, লতা ও আশার মাঝে সারদার অন্য ধরনের গলা এক সতেজতা এনেছিল হিন্দি ছবির গানে।
গানে পুরস্কার পাওয়ার ক্ষেত্রে মুহাম্মদ রফির মতো নামজাদা শিল্পীকেও টেক্কা দিয়েছেন সারদা।
‘অ্যান ইভনিং ইন প্যারিস’, ‘গুমনাম’, ‘সপনো কা সওদাগর’-এর মতো ছবিতেও গান গেয়েছেন সারদা। বৈজয়ন্তিমালা, মুমতাজ, শর্মিলা ঠাকুর, রেখা, হেমা মালিনীর মতো বড় অভিনেত্রীদের জন্য প্লেব্যাক করেছেন তিনি।
সত্তরের দশকে বড় বড় সুরকারদের সঙ্গে জুটি বেঁধে গান গেয়েছেন সারদা। ছবির গান গাওয়া ছাড়াও নিজের গানের অ্যালবাম বানিয়েছিলেন। সেখানে নিজের গানে সুরও দিয়েছিলেন সদ্য প্রয়াত এই সংগীতশিল্পী। শেষবার তার গলা শোনা গিয়েছিল মির্জা গালিবের গজলের অ্যালবাম ‘আন্দাজ-এ-বয়ান’-এ। তাও আজ থেকে প্রায় ১৬ বছর আগে।
‘তিতলি উড়ি’ ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বাচ্চাদের গান শেখাতেন সারদা। বরাবরই প্রচারের আলো থেকে দূরে থেকেছেন তিনি। যদিও সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ সক্রিয় ছিলেন গায়িকা। সারদার মৃত্যুতে ভারতীয় সংগীত ও চলচ্চিত্রাঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
কেএইচটি