সেই ট্রেনে বাংলাদেশের কেউ আছে কি না, উদ্বিগ্ন জয়া
ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ওড়িশায় ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (২ জুন) সন্ধ্যার দিকে তিন ট্রেনের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে এখন পর্যন্ত ২৮৮ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।
এদিকে এই দুর্ঘটনায় উদ্বিগ্ন হতে দেখা গেছে অভিনেত্রী জয়া আহসানকে। বর্তমানে নিজের সিনেমার মুক্তি ও প্রচারের কাজে কলকাতাতেই ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি।
করমণ্ডল এক্সপ্রেসে করে অনেকেই চিকিৎসার জন্য দক্ষিণ ভারত যান। আর এই ট্রেনে অনেক সময়ই ভারতীয়দের পাশাপাশি বাংলাদেশিরাও থাকেন। তারাও এখানে আসেন চিকিৎসার জন্য। ফলে একটা আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে, এই ট্রেনে হয়তো বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি আছেন বা ছিলেন। তাদের জন্যই উদ্বেগ প্রকাশ করলেন জয়া।
এদিন জয়া বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের তরফ থেকে যে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে সেটি ফেসবুকে শেয়ার করেছেন। পাশাপাশি লিখেছেন, ‘কারও পরিচিত এই ট্রেনে থাকলে এখনই খোঁজ নিন।’
বাংলদেশে উপ-হাইকমিশনের তরফে জারি করা সেই বিজ্ঞপ্তিতে একটি হেল্পলাইন নম্বর দেওয়া হয়েছে। এই নম্বরে হোয়াটসঅ্যাপ করলে বাংলাদেশের বাসিন্দারা তাদের প্রিয়জন যদি এই ট্রেনে থেকে থাকেন তার খোঁজ পাবেন। নম্বরটি হল- +৯১ ৯০৩৮ ৩৫৩৫৩৩।
এদিকে শুক্রবার সন্ধ্যা ৭ টা ২০ মিনিটে ওড়িশার বালেশ্বর জেলার বাহাঙ্গা বাজার এলাকায় ঘটে ভয়াবহ এই দুর্ঘটনা। শালিমার থেকে চেন্নাইগামী সেন্ট্রাল করমনণ্ডল এক্সপ্রেস, বেঙ্গালুরু থেকে হাওড়াগামী সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস এবং একটি মালবাহী ট্রেন— এই তিনটি ট্রেন এই দুর্ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে।
কিভাবে দুর্ঘটনা ঘটল— সে সম্পর্কে স্পষ্টভাবে কিছু জানা যায়নি এখনও। এ পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুায়ী, সিগন্যালে অপেক্ষমান মালগাড়ির সঙ্গে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের মুখোমুখী সংঘর্ষ হয়েছিল এবং সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস আগেই ওই এলাকায় লাইনচ্যুত হয়ে পড়েছিল। সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসের লাইনচ্যুতির সঙ্গে করমণ্ডল এক্সপ্রেস ও মালগাড়ির সঙ্গে সংঘর্ষের কোনো সংশ্লিষ্টতা ছিল কিনা— তা এখনও বলতে পারছেন না কর্মকর্তারা।
এনএইচ
