শাকিবকে জড়িয়ে বুবলীকে খোঁচা দিলেন মাহফুজ!
‘বসগিরি’ দিয়ে ঢাকাই সিনেমায় নাম লেখান শবনম বুবলী। প্রথম ছবিতে সহশিল্পী হিসেবে পান ঢালিউড শীর্ষ নায়ক শাকিব খানকে। এই জুটির পর্দা রসায়ন ধরা দেয় বাস্তব জীবনেও। ভালোবেসে গোপনে ঘর বাঁধেন, জন্ম নেয় পুত্র শেহজাদ খান বীর।
প্রথম ছবির নায়কের সঙ্গে প্রেম ও বিয়ে; তারপর সন্তান জন্মদান। এদিন যেন বুবলীকে খোঁচাই দিলেন অভিনেতা মাহফুজ আহমেদ। প্রেমের প্রশ্নে এরকম মজার জবাব দেন তিনি।
প্রথমবারের মতো ‘প্রহেলিকা’ ছবিতে জুটি বেঁধেছেন মাহফুজ-বুবলী। আসন্ন ঈদুল আজহায় মুক্তি পাবে ছবিটি। মূলত মুক্তি পূর্ববর্তী প্রচারণার অংশ হিসেবে গতকাল (শুক্রবার) অন্যরকম এক আড্ডায় শামিল হলেন দুই প্রজন্মের তারকাদ্বয়।
মাহফুজ-বুবলীর এই প্রাণবন্ত আড্ডার ফাঁকে কথা প্রসঙ্গে বুবলী জানান, মাহফুজ আহমেদের অভিনয় তাকে প্রেম করা শিখিয়েছে। এটাও জানান, মাহফুজ আহমেদ যখন অভিনয় শুরু করেন তখন নাকি তার জন্মও হয়নি!
বুবলীর এমন তথ্যের তুমুল বিরোধিতা করেন মাহফুজ। তিনি বলেন, ‘বুবলী নিজেকে কম বয়সী প্রমাণ করার জন্য আমাকে বুড়ো বানানোর চেষ্টা করছে।’ এরপরই ওঠে আসে প্রেম প্রসঙ্গ। মাহফুজ বুবলীকে বলেন, ‘আমি আর কী প্রেম শেখালাম। তুমি তো প্রথম নায়কেই প্রেম আর বিয়ে সেরে ফেলেছো!’
ছেড়ে কথা বলেননি বুবলীও। তিনি মাহফুজকে প্রশ্ন করেন, ‘আপনি তো অসংখ্য অভিনেত্রীর সঙ্গে কাজ করেছেন। এরমধ্যে সত্যিকারের প্রেমে কতবার পড়েছেন?’
বুবলীর এমন প্রশ্নের জবাবে বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দেন মাহফুজ। তার কথায়, ‘আমি হাজার নায়িকার সঙ্গে কাজ করেছি। নাটক-সিনেমা দুই বাংলাতেই। একাধিকবার মুগ্ধ হয়েছি আমার সহশিল্পীদের রূপে-গুনে। এরমধ্যে অনেকের সঙ্গে শুটিংয়ের ভেতরে ও বাইরে দারুণ সময় পার করেছি। বাট কো-আর্টিস্টের সঙ্গে প্রেম করা বা ঘর করার বিষয়টি কখনো মাথায় আসেনি। তুমি যেমন প্রথম ছবিতেই প্রেম-বিয়ে-সন্তান! আমি এসব কল্পনাতেও আনিনি কখনো। কারণ, আমার কাছে তখন থেকে এখনো মনে হয়, কো-আর্টিস্ট মানে সহপাঠী। তারা বন্ধু হতে পারে। এর বেশি কিছু তো না।’
উল্লেখ্য, ‘প্রহেলিকা’ দিয়ে দীর্ঘ ৮ বছর পর বড় পর্দায় ফিরছেন মাহফুজ আহমেদ। এতে মাহফুজ, বুবলী ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে আরও অভিনয় করেছেন নাসির উদ্দিন খান, রাশেদ মামুন অপু, এ কে আজাদ সেতু, রহমত উল্লাহ এবং সাবিহা জামানসহ অনেকে। জামাল হোসেন ও রঙ্গন মিউজিক এর প্রযোজনায় সিনেমাটির কাহিনি, সংলাপ ও চিত্রনাট্য লিখেছেন পান্থ শাহরিয়ার। পরিচালনা করেছেন চয়নিকা চৌধুরী।