নেচে গেয়ে নিজের গায়ে হলুদ অনুষ্ঠান মাতালেন ঐশী
বুধবার (৩১ মে) অনুষ্ঠিত হলো জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ফাতিমা তুয যাহরা ঐশীর গায়ে হলুদ অনুষ্ঠান। অন্যরকম পারিবারিক আবহে একঝাঁক সংগীতশিল্পীর অংশগ্রহণে এদিন নেচে গেয়ে নিজের গায়ে হলুদ অনুষ্ঠান মাতান এই সংগীত তারকা।
এটিকে অন্যরকম হলুদ সন্ধ্যাই বলা চলে। কেননা, সদ্য প্রয়াত ঐশীর বাবার একটি চিঠি দিয়ে শুরু হয় হলুদ সন্ধ্যার আয়োজন। সে চিঠি শুনে কান্নায় ভেঙে পড়েন ঐশী।
তবে মেঘ কেটে সূর্য উঁকি দিতে দেরি হয়নি। লুইপার মজার উপস্থাপনায় মঞ্চে এসে হাজির হন পারভেজ। একে একে মজার সব পারফরমেন্সে মঞ্চে আসেন আনিকা, লুইপা, তূর্য, নাবিলা, সজল, পূজা, নাদিয়া ডোরা, নিলয় প্রমুখ। মজার মজার গানে ঐশীর সতীর্থ সংগীতশিল্পীরাই হয়ে ওঠেন ড্যান্সার।
মঞ্চে শুধু উপলক্ষ্য হিসেবে আসন পেতে বসে থাকেননি হবু বর-কনে। সবার সঙ্গে নাচে অংশ নেন ঐশী ও জিলানী। নৈশভোজের পর মঞ্চে গিটার হাতে তুলে নেন কৌশিক হোসেন তাপস। তার সঙ্গে যুক্ত হয়ে একে একে গান পরিবেশন করেন শিল্পীরা। গান করেন ঐশীও।
ঐশী বলেন, ‘আমার বাবা-মায়ের পরে কৌশিক হোসেন তাপস ভাইয়া ও মুন্নী ভাবি আমাকে সন্তানের মতো করে সংগীতজীবনে বড় করে তুলেছেন। তাদের ঘিরে আমাদের সংগীতশিল্পীদের যে বলয় তাই আমাদের টিএম পরিবার। গায়ে হলুদের এমন আনন্দঘন মুহূর্ত উপহার দেয়ায় টিএম পরিবার ও গানবাংলাকে অনেক ধন্যবাদ।’
গায়ে হলুদের আয়োজনে উপস্থিত থেকে ঐশী-জিলানিকে আশীর্বাদ জানিয়েছেন বরের বাবা-মা, ঐশীর মা নাসিমা মান্নান, টিএম পরিবারের দুই মধ্যমণি কৌশিক হোসেন তাপস-ফারজানা মুন্নী, ব্যান্ড লিজেন্ড হামিন আহমেদসহ দুই পরিবারের অনেকেই।
প্রসঙ্গত, আড়াই বছরের পরিচয় ও বন্ধুত্বের পর গত ২ এপ্রিল আংটিবদল হয় ঐশী ও জিলানীর। সংগীতশিল্পী পরিচয়ের বাইরে ঐশী এখন চিকিৎসক। অন্য দিকে জিলানী পড়াশোনা শেষ করে যুক্ত হয়েছেন একটি ঔষধ কোম্পানিতে। পাশাপাশি অভিনয় ও মডেলিংও করেন তিনি।