অভিনেত্রী আকাঙ্ক্ষার মৃত্যু ঘিরে নতুন রহস্য
ভারতের ভোজপুরী অভিনেত্রী আকাঙ্ক্ষা দুবের ঝুলন্ত দেহ গত ২৬ মার্চ উত্তর প্রদেশের বারাণসীর এক হোটল রুম থেকে উদ্ধার হয়। ছবির শ্যুটিংয়ে বারাণসী ছিলেন আকাঙ্ক্ষা, তার রহস্যমৃত্যুর জট আরও পাকালো। আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে আকাঙ্ক্ষার প্রেমিক সমর সিং ও সমরের ভাই সঞ্জয় সিংকে আগেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে এবার তদন্তে নতুন মোড়!
জানা গেছে, প্রয়াত অভিনেত্রীর অন্তর্বাস থেকে মিলেছে স্পার্ম (শুক্রাণু)। মৃত্যুর পরেই আকাঙ্ক্ষার মা তার প্রেমিকের বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ এনেছিলেন। মেয়েকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছে সমর, অভিযোগ তার মায়ের। সময় ও সঞ্জয় দুই ভাই মিলে তাকে মারধর করত, এমনকি মেরে ফেলার হুমকি পর্যন্ত দিত বলে জানিয়েছেন আকাঙ্ক্ষার মা।
পুলিশ সূত্রে খবর, আকাঙ্ক্ষার আন্ডারওয়ার থেকে স্পার্ম মিলেছে। যে স্পার্মের সঙ্গে অভিযুক্ত সমর সিং, সঞ্জয় সিং, সন্দীপ সিং ও অরুণ পাণ্ডের ডিএনএ মিলিয়ে দেখা হবে। নমুনা সংগ্রহ করে তা ইতোমধ্যেই ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে বলে খবর।
আকাঙ্ক্ষার মৃত্যুর পরেই ডিসিপি অমিত কুমার সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, আকাঙ্ক্ষার পোশাক এবং তার ভ্যাজাইনাল ও অ্যানাল সোয়্যাব সংগ্রহ করে তা ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। প্রকাশিত এক রিপোর্টে বলা হয়েছে আকাঙ্ক্ষার পোশাক থেকে স্পার্ম মিলেছে।
আকাঙ্ক্ষার পরিবারের আইনজীবী শশাঙ্ক শেখর ত্রিপাঠির অভিযোগ তদন্তকারীরা তাদের সঙ্গে সহযোগিতা করছেন না। পুলিশের ‘গতিবিধি সন্দেহজনক’ বলেও অভিযোগ তার। এখনও পর্যন্ত আকাঙ্ক্ষার মায়ের বয়ান পর্যন্ত রেকর্ড করেনি পুলিশ বলে অভিযোগ আইনজীবীর।
আকাঙ্ক্ষার দেহের ময়নাতদন্তের রিপোর্টেও রয়েছে রহস্যের হদিশ। প্রয়াত নায়িকার পেটে মিলেছে বাদামী রঙের অজানা তরলের উপস্থিতি, এছাড়াও তার কব্জিতে মিলেছে আঘাতের চিহ্ন। শরীরে অ্যলকোহলের চিহ্নও পাওয়া যায়নি। মৃত্যুর কয়েকঘণ্টা আগে সন্দীপ সিংয়ের সঙ্গে হোটেলের রুমে প্রবেশ করেন আকাঙ্ক্ষা। মিনিট ১৫ পরে সন্দীপ বেরিয়ে যান। এরপর আর জীবিত অবস্থায় কেউ দেখেনি আকাঙ্ক্ষাকে।
খুব অল্প বয়সেই ক্যারিয়ারের সাফল্যের মুখ দেখেছিলেন আকাঙ্ক্ষা। তবে ২০১৭ সাল নাগাদ মানসিক অবসাদের শিকার হন তিনি, তবে ধীরে ধীরে সেই অবসাদ কাটিয়ে উঠে কাজে ফেরেন। ক্যারিয়ারের শীর্ষে থাকাকালীন কেন হঠাৎ করে আত্মহত্যা করবেন আকাঙ্ক্ষা? বিশ্বাস করতে পারছেন না কেউই।
ওএফ