অন্যের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে তারাই চর্চা করেন, যাদের ফাঁকা সময় অনেক
৬০ বছর বয়সে নতুন করে সংসার শুরুর কথা অনেকে ভাবতে না পারলেও অভিনেতা আশিস বিদ্যার্থী পেরেছেন। ২৫ মে রূপালি বড়ুয়াকে বিয়ে করেছেন আশিস। এরপর থেকে কটাক্ষের মুখোমুখি হতে হচ্ছে তাকে।
অবশ্য ব্যক্তিগত সম্পর্কের জন্য দর্শকের কটাক্ষ এবারই প্রথম নয়। অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়কেও এমন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে। রাজীব কুমারের সঙ্গে আইনি বিচ্ছেদের পর আরও দু’বার সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন নায়িকা। বিয়েও করেছিলেন। তা নিয়ে দর্শকদের কটাক্ষের শিকার হতে হয়েছিল তাকে।
শ্রাবন্তী ছাড়াও অভিনেত্রী রূপাঞ্জনা মিত্ররও রয়েছে একই অভিজ্ঞতা। তার প্রথম বারের বিচ্ছেদ হয়েছে অনেক দিন হল। এক ছেলের মা তিনি। তার পর বয়সে ছোট কারও সঙ্গে প্রেম! এ কথা প্রকাশ্যে আসতেই চারিদিকে শুরু হয়েছিল সমালোচনা।
আশিসের ক্ষেত্রেও পরিস্থিতি খানিকটা এমনটাই। এই পরিস্থিতিতে কী বললেন শ্রাবন্তী, রূপাঞ্জনারা? শ্রাবন্তীর স্পষ্ট জবাব, আমি নিজের শর্তে বাঁচি। আর অন্যের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে তারাই চর্চা করেন, যাদের জীবনে ফাঁকা সময় অনেক। তার খারাপ সময়ে তো পাশে দাড়িয়ে কেউ সাহায্য করেনি। তা হলে সে যদি ভালো থাকার চেষ্টা করেন, তা হলে অন্য জনের এত সমস্যা কিসের? উনি ভালো থাকতে চেয়েছেন। এটা তো অন্যায় নয়। খুব ভালো যে, ৫৭ বছর বয়সে নতুন ভাবে জীবন শুরু করার কথা ভেবেছেন। আমাদের তো প্রশংসা করা উচিত।
এ প্রসঙ্গে আশিস নিজে বলছেন, ভাল থাকার অধিকার সবার আছে। দিন শেষে আমরা সবাই কিন্তু খুশি থাকতে চাই। আর এই খুশির জন্য ২২ বছর আগে আমি ও পিলু একে অন্যের হাত ধরেছিলাম। আমাদের জীবনে আমাদের সন্তান অর্থ আসে। তারও এখন বয়স ২২। কিন্তু এত সুন্দর একটা সময় কাটানোর পর আমরা বুঝতে পারি আমরা ভালো নেই। আমরা বুঝতে পারি, আমরা ভবিষ্যৎটা আলাদা ভাবে দেখি। বিয়ে টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করেছি। কিন্তু কাজে আসেনি।
এনএফ