রাতুল কি পারবে নীলাকে ছাড়া থাকতে?
মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান রাতুল কিছুটা এলোমেলো জীবন যাপনে অভ্যস্ত। পড়ালেখা শেষ করে একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করছে। বাবা-মায়ের বড় সন্তান হিসেবে তার দায়িত্ব বেশি। ছোট ভাই আকিব ইউনিভার্সিটিতে পড়ছে। বাবা মারা গেছেন তিন বছর হলো।
অন্য দিকে, নীলা বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। ইউনিভার্সিটিতে পড়ছে। রাতুলের সঙ্গে তার সম্পর্ক পাঁচ বছর ধরে। নীলার বাবা তাকে বারবার বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছে, কিন্তু নীলা চায় সে পড়ালেখা শেষ করে বিয়ে করবে। বাবা তার পছন্দের পাত্র জুবায়েদকে হাতছাড়া করতে চান না। আর নীলা তার ভালোবাসার মানুষ রাতুল ছাড়া অন্য কাউকে বিয়ে করতে চায় না।
নীলা রাতুলকে বিষয়টা বোঝানোর চেষ্টা করে, কিন্তু রাতুল বিয়ে করবে না। বিয়ে করার ইচ্ছে নেই তার। রাতুলের মাও তাকে বিয়ের কথা বলতে বলতে রীতিমতো ক্লান্ত। নীলা শেষবারের মত রাতুলের কাছে তার সিদ্ধান্ত জানতে চায়। রাতুল বলে সে নীলাকে ছাড়া থাকতে পারবে। নীলা বলে আজ থেকে আর তাদের কথা হবে না। বিয়ের পর সে মোবাইলের সিম বদলে ফেলবে। নীলার খুব কষ্ট হলেও রাতুলের মধ্যে কোনো বিকার নেই।
পরদিন সকালে রাতুল ঘুম থেকে উঠেই অভ্যাসবশত নীলাকে কল দিলে তার ফোন বন্ধ পায়। রাতেও ফোনে এবং মেসেঞ্জারে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে কিন্তু কিছুতেই পায় না। রাতুল অস্থির হয়ে পড়ে। সে কি সত্যিই নীলাকে ছাড়া থাকতে পারবে? এমনই গল্পে নির্মিত হয়েছে নাটক ‘কষ্টের নাম মায়া’। রচনা ও পরিচালনা করেছেন পথিক সাধন।
শুক্রবার (১৯ মে) রাত ১০টা ৩০ মিনিটে মাছরাঙা টেলিভিশনে প্রচারিত হবে নাটকটি। এতে মুখ্য চরিত্রে চরিত্রে অভিনয় করেছেন তৌসিফ মাহবুব, সাদিয়া আয়মানসহ আরও অনেকে।
কেএইচটি