আমরা একে অপরের সব চেয়ে বড় ফ্যান
শুটিং, সিরিজের প্রচার, মেয়ে আর সংসার নিয়ে বেশ ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। তার এই ব্যস্ততা বাড়িয়েছে নতুন ওয়েব সিরিজ ‘সিটাডেল’।
এরইমেধ্যে মুম্বাই, লন্ডন, রোম, লস অ্যঞ্জেলেসে প্রিমিয়ার হয়েছে সিটাডেলের। এখনও পর্যন্ত প্রায় সব প্রিমিয়ারেই প্রিয়াঙ্কার সঙ্গেই দেখা গেছে নিক জোনাসকে। লাল গালিচায় এসে ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছেন হলিউডের এই মুহূর্তের অন্যতম জনপ্রিয় ও চর্চিত জুটি। লন্ডন থেকে রোম, নিজেদের প্রেমের রঙে লাল গালিচায় রং ভরেছেন প্রিয়ঙ্কা ও নিক। অন্য দিকে, লস অ্যাঞ্জেলেসের প্রিমিয়ারে প্রিয়াঙ্কার পাশে দেখা গেল না নিককে।
কিন্তু কোথায় ছিলেন তিনি? উত্তর পাওয়া গেল প্রিয়াঙ্কার কাছেই। সে দিন জোনাস ব্রাদার্সের কনসার্ট থাকায় প্রিমিয়ারে আসতে পারেননি নিক। তবে, প্রিয়াঙ্কা যাতে থাকতে পারেন, তার জন্য কনসার্ট এক ঘণ্টা পিছিয়েও দিয়েছেন তিনি। প্রিয়াঙ্কা বলেন, আমরা দু’জনের একে অপরের সব থেকে বড় ফ্যান। আমরা একে অপরের জন্য তালি বাজাতে সব সময় উপস্থিত থাকার চেষ্টা করি। এটাই আমাদের পরিবার।
দিন কয়েক আগেই এক সাক্ষাৎকারে প্রিয়াঙ্কা জানান, নিকের মধ্যে নিজের প্রয়াত বাবার ছাপ দেখতে পান তিনি। প্রিয়াঙ্কা বলেন, আমার মা যখন প্রাইভেট প্র্যাকটিস শুরু করেন, তখন তিনি বাবার চেয়ে অনেক বেশি রোজগার করতেন। বাবা কখনও তাতে বাধা দেননি। নিকের মধ্যেও আমি এই গুণটা দেখি। আমার সাফল্যে ও হীনম্মন্যতায় ভোগে না। বরং আমার সাফল্যে আমার চেয়েও ওর উৎসাহ কয়েক গুণ বেশি।
প্রিয়াঙ্কার এই কথা যে অক্ষরে অক্ষরে সত্যি, তার প্রমাণ দিয়েছেন নিক। লন্ডনে ‘সিটাডেল’-এর প্রিমিয়ারে লাল পোশাকে লাস্যময়ী রূপে হাজির হয়েছিলেন প্রিয়াঙ্কা। রেড কার্পেটে প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে দাঁড়িয়ে ছবি তোলার পরেও প্রিয়ঙ্কার ওপর থেকে চোখ সরাতে পারছিলেন না নিক। শুধু তা-ই নয়, পরে সরে দাঁড়িয়ে নিজের মোবাইল ফোনে প্রিয়াঙ্কার একাধিক ছবিও তোলেন ‘জোনাস ব্রাদার্স’ খ্যাত পপ তারকা।
এনএফ