বনি সেনগুপ্তকে ‘হিরো আলম’ বলে কটাক্ষ
সময়টা মোটেও ভালো যাচ্ছে না টলিউড অভিনেতা বনি সেনগুপ্তের। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় দ্বিতীয় দফা জেরা শেষে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) দপ্তর থেকে বেরিয়ে ‘আত্মবিশ্বাসী’ সুর অভিনেতার কণ্ঠে। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ভিডিওর কিছু অংশ ভাইরাল হতেই কটাক্ষের মুখে পড়লেন বনি।
অভিনেতা নিজের এক দশকের ক্যারিয়ার নিয়ে আত্মবিশ্বাসী হলেও ভ্রু উঁচিয়েছেন অনেকেই। এত অল্প সময়ে কীভাবে এত বিলাসবহুল গাড়ি, জীবনযাপন, বিদেশ ভ্রমণ, সিনেমা প্রযোজনা করছেন তিনি? তারওপর রাজ্যের শিক্ষাঙ্গনে ভয়ংকর আর্থিক কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত কুন্তল ঘোষের সঙ্গে ৪০ লাখ টাকা লেনদেনের কথা শুনে ঘাম ছুটেছে অনেকেরই।
তবে নির্ভীক বনি। তার কথায়, ‘আমি ইন্ডাস্ট্রির প্রধান নায়কদের একজন। যে পারিশ্রমিকটা নিই, সেটা আমি মেনে নিতে পারি। এতগুলো বছর খেটে সেই পারিশ্রমিকটা আমি উপার্জন করেছি। তাই সেটার ওপর কেউ কথা বলতে পারে না।’
অভিনেতার মুখে এসব সাফাই শুনে বেজায় খেপেছে নেটপাড়া। ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করতে ছাড়ছেন না কেউই। কারো মন্তব্য, ‘এসব আঁতলামি।’ কেউ আবার কটাক্ষ করে ‘হিরো আলম, ধাপ্পাবাজ, নোবেলজয়ী অভিনেতা’ সম্বোধন করতেও ছাড়লেন না। বনি সেনগুপ্তকে কটাক্ষ করলেন অভিনেতা অরিত্র দত্ত বণিকও।
অরিত্রর কথায়, ‘সাধগুরু কিংবা সন্দীপ মাহেশ্বরীকে আজ থেকে আমি মোটিভেশনাল স্পিকার হিসেবে আর গুরুত্ব দেব না। আত্মবিশ্বাস কাকে বলে দেখে নিন। এভাবেই আমাদেরও আত্মবিশ্বাস গড়ে তুলতে হবে। তবেই সাফল্য আপনার দোরগোড়ায়।’ অভিনেতার কথা শুনে বনিকে খোঁচা দিয়ে পাল্টা নেটিজেনদের মন্তব্য, ‘এটা দুয়ারে সাফল্য..।’
প্রসঙ্গত, শিক্ষক দুর্নীতি মামলায় বনির নাম জড়ানোয় ফেঁসে যেতে পারেন তার মা পিয়া সেনগুপ্ত এবং প্রেমিকা কৌশানি মুখার্জিও। ইতোমধ্যে ইডির দপ্তরে জমা দিতে হয়েছে অভিনেতার বিগত দশ বছরের উপার্জনের সমস্ত হিসাব-নিকাশের নথিপত্র। ২০১৪ সালে রাজ চক্রবর্তী পরিচালিত ‘বরবাদ’ সিনেমার মাধ্যমে টলিউডে যাত্রা শুরু করেন বনি সেনগুপ্ত।