‘একসঙ্গে হলে জয়ী হব, আলাদা হলে হারিয়ে যাব’
হলিউডে ডিসি-মার্ভেল সুপারহিরোরা মিলে ইউনিভার্স তৈরি করে, অপশক্তিকে এক হয়ে প্রতিহত করে। বর্তমানে এর ছোঁয়া পড়েছে বলিউডেও। শাহরুখ অভিনীত ‘পাঠান’ সিনেমার হাত ধরে যাত্রা শুরু করেছে ‘স্পাই ইউনিভার্স’। যেখানে শাহরুখ-সালমানকে একসঙ্গে পর্দায় দেখে উচ্ছ্বসিত দর্শক! যার প্রভাব পড়েছে ছবিটির ব্যবসাতেও।
বর্তমানে ঢালিউডে ক্রান্তিকাল চলছে। লাভের মুখ না দেখাতে একের পর এক বন্ধ হচ্ছে প্রেক্ষাগৃহ। সম্প্রতি হিন্দি সিনেমা আমদানির বিষয়ে অনুমতি মিলেছে। দেশীয় প্রেক্ষাগৃহে ‘পাঠান’ মুক্তি না পাওয়াতে হল বন্ধের আল্টিমেটাম দিয়েছে হল মালিক সমিতি।
এমতাবস্থায় দেশীয় সিনেমা বাঁচাতে নায়করা একে অন্যের ছবিতে অভিনয় করবেন কিনা কিংবা নতুন কোনো ইউনিভার্স তৈরি হলে কেমন হয়? এক সাক্ষাৎকারে এমনই প্রশ্ন করা হয় জনপ্রিয় ঢালিউড অভিনেতা আরিফিন শুভকে।
জবাবে তিনি বলেন, “২০১৬ সালে ‘আয়নাবাজি’ মুক্তি পেয়েছিল। ‘মুসাফির’সহ আরও কয়েকটি ছবি দিয়ে আমার জনপ্রিয়তার কোনো কমতি ছিল না। তা সত্ত্বেও আমাকে অমিতাভ রেজা বললেন, ‘একটা দৃশ্য আছে, করে দিয়ে যা।’ আমি বললাম, ঠিক আছে। যেদিন যাব, সেদিন বললেন যে মুক্তির আগে কাউকে জানানো যাবে না। আমার সঙ্গে কিন্তু কোনো সাইনিংও হয়নি। পুরান ঢাকায় গেরিলা স্টাইলে গেলাম। গেরিলা স্টাইলে সারা দিন শুটিং হলো। তার বহু মাস পর ছবিটি মুক্তি পেলে সবাই জানল, আয়নাবাজির একটি দৃশ্যে আরিফিন শুভ আছে।”
অভিনেতাদের একে অন্যের ছবিতে কাজ করার প্রয়োজন আছে বলেও মনে করেন শুভ। তার কথায়, ‘একসঙ্গে কাজ করার প্রয়োজন তো আছে। আমাদের দেশে বিষয়টা বোঝার মানুষ কতজন আছে, সেটাও একটা প্রশ্ন। অবশ্যই সেটা হওয়া উচিত। দশের লাঠি একের বোঝা। আমরা একসঙ্গে হলে জয়ী হব, আলাদা আলাদা হলে হারিয়ে যাব।’
উল্লেখ্য, চলতি বছর ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে মুক্তি পেয়েছে আরিফিন শুভ অভিনীত ‘উনিশ২০’। এতে তার বিপরীতে জুটি বেঁধে অভিনয় করেন আফসান আরা বিন্দু। আগামীতে শুভকে দেখা যাবে ‘নূর’, ‘মুজিব: দ্য মেকিং অব আ নেশন’, ‘ফুটবল ৭১’ ছবিগুলোতে।
কেএইচটি