ভালোবাসা নিয়ে যা লিখলেন জয়া আহসান
ঢালিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। বয়স যেন তার কাছে পাত্তাই পায় না। এবার বসন্তের ছোঁয়ায় নিজেকে মেলে ধরলেন এই অভিনেত্রী। ভ্যালেন্টাইনস ডে উপলক্ষে মঙ্গলবার ভালোবাসা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন জয়া।
তাতে তিনি লেখেন, ভালোবাসাই নিঃস্বার্থতার সবচেয়ে বড় শিক্ষক। হিংসায় উন্মত্ত এই পৃথিবীতে একটি দিনও নিজেদের ভালোবাসার প্রয়োজনের কথা, ভালোবাসার মানুষকে মনে করার কথা মন্দ কী!
বার্তার শুরুতেই জয়া লেখেন— কাল ছিল বসন্তের শুরু। আজ ভ্যালেন্টাইন। ভালোবাসার সঙ্গে রাখি বেঁধে রাখা দুটি দিন।
ভালোবাসার এ দিনটি নিয়ে নায়িকার ভাষ্য— কোনো একটি দিনেই সরবে ঘোষণা দিয়ে ভালোবাসার কথা হয়তো বড্ডই অকিঞ্চিৎকর। ভালোবাসা তো চির বসন্তের মতো সব সময়েই আমাদের মনে জাগিয়ে রাখার কথা। সেটিই সংগত। তবু হিংসায় উন্মত্ত এই পৃথিবীতে একটি দিনও নিজেদের ভালোবাসার প্রয়োজনের কথা, ভালোবাসার মানুষকে মনে করার কথা মন্দ কী!
অভিনেত্রী বলেন, ভালোবাসার মধ্যে আছে কাউকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে দেওয়ার আনন্দ। এই যে নিজের চেয়ে আরেকজনকে বড় করে ভাবা, আরেকজনের আনন্দের মধ্যে নিজের আনন্দকে পাওয়া, আরেকজনকে দিয়ে নিঃশেষ হয়েও নিজেকে পূর্ণ বলে অনুভব করা—ভালোবাসাই তো সেটি দিতে পারে। ভালোবাসাই নিঃস্বার্থতার সবচেয়ে বড় শিক্ষক। ভালোবাসা শিখতে হয়। উপলব্ধি করতে হয় মন থেকে। এই ভালোবাসার কল্যাণেই বিরহ বেদনার ছায়া নেমে যেতে পারে পৃথিবী থেকে।
জয়া আরও লেখেন, আমরা যদি সত্যই ভালোবাসতে শিখি, তা হলেই পৃথিবীর বেদনার বড় ছায়াটা সরে যায়। ফুটপাতে যে বৃদ্ধাটা রাতের বেলা শীতে কাঁপছে তার জন্য ভালোবাসা; বখাটেদের হাতে লাঞ্ছিত যে কিশোরিটি ঘরের কোণে আত্মহত্যায় উদ্যত তার জন্য ভালোবাসা; ভূমিকম্পের তুরস্কে মা–বাবাকে হারানো যে সদ্যোজাত শিশুটি ভগ্নস্তূপ থেকে উদ্ধার পেল তার জন্য ভালোবাসা; মন্দির চূর্ণ করে দেওয়ার পর সেখানে মাথা ঠুকছেন যে পূজারি তার জন্য ভালোবাসা। সব শেষে জয়া শেষ করলেন ‘আমরা ভালোবাসি’ বাক্যটি দিয়ে।
বসন্তের ছোঁয়ায় নিজেকে মেলে ধরা জয়া আহসানের ছবিগুলো ভক্তদের মন কেড়েছে। সেই ছবিগুলোকে ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভক্তরা শুভেচ্ছায় ভাসাচ্ছেন প্রিয় অভিনেত্রীকে।
অনেকে মন্তব্য করছেন, দিন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জয়ার রূপও বেড়ে চলেছে। আবার কেউ লিখেছেন, একটি ঘরেই আটকে আছে জয়ার বয়স। কেউ লিখেছেন, চিরতরুণী আবেদনময়ী রূপে ধরা দিচ্ছেন জয়া।
এমএ