পাত্রের ব্যাংকে টাকা থাকা জরুরি : রাইমা
বয়স ৪৩-এও সিঙ্গেল তিনি। পছন্দের জীবনসঙ্গী খুঁজে নেবার পালা বহু আগেই এসেছে। কিন্তু তিনি তো যেনতেন কেউ নন, স্বয়ং মহানায়িকা সুচিত্রা সেনের নাতনি অন্যদিকে রাজ পরিবারের মেয়ে। পাত্র হিসেবে কেমন ছেলে চান অকপট রাইমা সেন। কলকাতার সংবাদমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে বিস্তারিত আলাপ।
দীর্ঘ এক যুগেরও বেশি সময় পার করে ফেলেছেন ইন্ডাস্ট্রিতে। এ সময়টাতে তার কাজ নিয়ে যেমন আলোচনা হয়েছে তেমনি ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও ছিলেন চর্চার কেন্দ্রে। প্রখ্যাত নির্মাতা ঋতুপর্ণ ঘোষের হাত ধরে নিজেকে মেলে ধরেছিলেন ভিন্নভাবে। এবার আসছে তার নতুন ওয়েব সিরিজ ‘রক্তকরবী’। এতে সম্পূর্ণ নতুন একটি চরিত্রে দেখা যাবে তাকে। সিরিজের নাম ‘রক্তকরবী’ হলেও এটির সঙ্গে রবি ঠাকুরের রক্তকরবীর নাম ছাড়া অন্যকোনো মিল নেই।
কাজ নিয়ে কথা বলার ফাঁকে উঠে আসে তার বিয়ের কথাও। সাত পাকে বাঁধা পড়া প্রসঙ্গে রাইমার ভাষ্য, ‘আমি তো চাই বিয়ে করতে। পাত্র খুঁজে দিলেই বিয়ে করব। একজন ভালো মানুষ চাই।’ নায়িকার কেমন পাত্র চাই সেটাও ব্যাখ্যা করলেন এভাবে, ‘আমার এমন একজন মানুষ চাই যে আমার জীবনধারার সঙ্গে মিশে যেতে পারবে, সঙ্গে একটু রসবোধ থাকবে। আর ব্যাংকে টাকা থাকা তো জরুরি। ওটা না থাকলে তো চলবে না।’
অনামিকায় আংটি দেখে অনেকে ভাবেন তিনি হয়তো কারো বাগদত্তা। আসলে তা না। বিষয়টি খোলাসা করে রাইমা বলেন, ‘আমি সিঙ্গেল সবাইকে বলতে চাই।’ কাজের ক্ষেত্রে বরাবরই খুঁতখুঁতে স্বভাবের এই অভিনেত্রী। তাই তো অনেকে তাকে আনপ্রেডিক্টেবল ভাবেন। তবে তিনি ভালো কাজের পক্ষপাতী। এ ভাবনা থেকেই ‘রক্তকরবী’ বেছে নেওয়া। বাংলা, হিন্দির পর আগামীতে রাইমাকে দেখা যাবে তামিল ছবিতেও।
প্রসঙ্গত, সায়ন্তন ঘোষাল পরিচালিত ‘রক্তকরবী’তে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন রাইমা সেন ও বিক্রম চট্টোপাধ্যায়। অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন শান্তিলাল মুখোপাধ্যায়, লাবণী সরকার, ভাস্বর চট্টোপাধ্যায়, তুলিকা বসু, কিঞ্জল নন্দ, রুকমা রায়, অঙ্গনা রায়, হরিদাস চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ।