কেন নীল-সাদা শাড়ি খুঁজছেন স্বস্তিকা?
নীল-সাদা শাড়ির খোঁজে স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। কথা দিয়েছিলেন, সেই কথা যে রাখতেই হবে। স্বস্তিকা জানিয়েছিলেন, প্রিয় দল আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপে জিতলে সেই দলের জার্সি পরবেন তিনি। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সেই কথা রাখেননি তিনি। আর তাতেই ভক্তরা প্রশ্ন করতেই নিজস্ব মেজাজে উত্তর তার।
অবশ্য কটাক্ষও শুনতে হলো অভিনেত্রীকে। কিন্তু স্বস্তিকাও যে ছেড়ে দেওয়ার পাত্রী নন, পাল্টা জবাব দিলেন তিনিও।
সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের বেশ কিছু ছবি পোস্ট করেছিলেন স্বস্তিকা। সেখানেই একজন তাকে মন্তব্য বক্সে লেখেন, “দিদি তুমি যে বলেছিলে আর্জেন্টিনা জিতলে নীল সাদা শাড়ি পরবে। ওয়েট করে আছি। তোমাকে খুব খুব ভালবাসি।”
সেই কমেন্টকারী প্রশ্নের উত্তরেই স্বস্তিকা লেখেন, “একটা ভালো নীল সাদা শাড়ি খুঁজছি।” পাল্টা স্বস্তিকাকে ট্রোল করে এক ব্যক্তি লেখেন, “সেটা (নীল-সাদা শাড়ি) তো কালীঘাট একজনই ভালো খোঁজ দিতে পারবে। যে বেস্ট নীল-সাদা শাড়ি কোথায় পাওয়া যাবে”।
Matching it up with the dark emerald of the evening sky… Bohurupi santiniketan
Posted by Swastika Mukherjee on Wednesday, December 21, 2022
পাল্টা জবাবে অভিনেত্রীও লেখেন, “আপনি খবরটা নিয়ে আমায় দিয়ে দিন। সব কাজ আমি কেন করব বলুন? আপনি খবরটা নিয়ে ওনার কাছ থেকে আমাকে দিন। আমি কিনে পরে ছবি পোস্ট করে দেব। ওকে?”
প্রসঙ্গত, মাস দুয়েক আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ছবি শেয়ার করে নেটিজেনদের একটা বড় অংশের রোষের মুখে পড়েছিলেন স্বস্তিকা। যদিও কটাক্ষের পাল্টা উত্তর সে সময়ও দিতে দেখা গিয়েছিল তাকে।
স্বস্তিকা বলেছিলেন, “আমি একটা ক্লাবের সঙ্গে কার্নিভ্যালে গিয়েছিলাম, এই প্রথমবার। ৯৫ টারও বেশি ক্লাব যেখানে অংশগ্রহণ করেছে, সেই সমস্ত প্যান্ডেলে হাজার হাজার মানুষ ঠাকুর দেখতে গেছেন, সেই সমস্ত ক্লাব আমাদের রাজ্যের। কালকেও উপচে পড়া ভীড় ছিল। রাজ্যের কি খারাপ অবস্থা সেটা ভেবে কেউ বাড়িতে বসে পুঁজো বয়কট করেনি”।
যোগ করেছিলেন, “সিএম-এর সঙ্গে দেখা হওয়ায় তাকে নমস্কার করে বিজয়া জানানোটা ভদ্রতা, সৌজন্য। আমায় দুটো চকলেট দেওয়াটা ওনার ইচ্ছে, সেটা খেয়ে নেওয়াটা আমার। চকলেট নিয়েছি ইলেকশন টিকিট নয়, চকলেট খেয়েছি মোটা টাকার ঘুষ নয়।”
অভিনেত্রীর দাবি, ভবিষ্যতে দেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার দেখা হলেও তিনি একই ভাবে নমস্কার করবেন। সাফ জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রীর ব্যক্তিত্বকে তিনি শ্রদ্ধা করেন। কিন্তু তাই বলে রাজনৈতিক মতোবিরোধিতার সঙ্গে আপস তিনি মোটেও করবেন না। অন্যায় হলে আবারও মুখ খুলবেন। তবে রয়েছে এক ‘কিন্তু’।
স্বস্তিকার কথায়, “পৃথিবীর সমস্ত বিষয় নিয়ে আমায় জিহাদ ঘোষণা করতেই হবে, না হলেই আমার মেরুদণ্ড ধ্বসে পরবে এমন কোনো দাসখত আমি লিখিনি। আর আমার ধ্যান ধারণা বিবেক বিচার আপনাদের কথায় ওঠা নামা করে না।”
এবারেও কার্যত সরকারের সঙ্গে’ ঘনিষ্ঠতা’ নিয়ে পরোক্ষে মন্তব্য করতেই স্পষ্ট ভাষায় নিজের মতো প্রকাশ করতে দেখা গেল তাকে। বরাবরই যে তিনি এরকমই। নিজের শর্তেই কাটান জীবন।
এসএম