জায়েদকে পদে আসতে হলে জাতিসংঘে যেতে হবে: ইলিয়াস কাঞ্চন
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে জায়েদ খানের প্রার্থিতা বৈধ বলা হাইকোর্টের রায় স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে নিপুণের লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) গ্রহণ করে তাকে আপিলের অনুমতি দিয়েছেন আদালত।
এর ফলে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ‘আপাতত নিপুণের দায়িত্ব পালনে বাধা নেই’ বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। সোমবার (২১ নভেম্বর) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।
এরপর বিকেলে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিতে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন নিপুণ। সেখানে সমিতির বর্তমান সভাপতি ও অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন মন্তব্য করেছেন, জায়েদকে সাধারণ সম্পাদক পদে ফিরে আসার জন্য জাতিসংঘে যাওয়া ছাড়া কোনো উপায় নেই।
এক প্রশ্নের জবাবে ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ‘এখন আর কোনো সুযোগ নেই। দেশের সর্বোচ্চ আদালত থেকে একটি নির্দেশনা এসেছে। এখন জায়েদকে এই পদে আসতে হলে জাতিসংঘে যেতে হবে৷ এ ছাড়া তার জন্য আর কোনো উপায় নেই।’
এই অভিনেতা আরও যোগ করেন, ‘দীর্ঘ ৯ মাস ধরে অনেক কিছু হয়েছে। এসব নিয়ে আর কথা চাই না। আমরা সবাই শিল্পী হয়ে সমিতির জন্য, শিল্পীদের জন্য কাজ করে যেতে চাই। নিপুণ এখন থেকে নিয়মিত এই পদে কাজ করবে। আজ থেকে আমাদের শক্তিটা বেড়েছে।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও ছিলেন সমিতির সহ-সাধারণ সম্পাদক সাইমন সাদিক, ক্রীড়া ও সংস্কৃতি সম্পাদক মামনুন ইমন, আরমান, জেসমিন, ডি এ তায়েব, প্রযোজক সমিতির নেতা খোরশেদ আলম খসরু প্রমুখ।
উল্লেখ্য, গত ২৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়েছিল বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিত্রি নির্বাচন। এতে সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হন নিপুণ ও জায়েদ খান। নির্বাচনের প্রাথমিক ফলাফলে জয়লাভ করেন জায়েদ। এরপর পুনর্গণনাতেও তিনি জয় পান।
পরবর্তীতে জায়েদ খানের বিরুদ্ধে নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ তোলেন নিপুণ। সেই প্রেক্ষিতে পদটি নিয়ে শুরু হয় বিতর্কের ঝড়। বিষয়টি সমাধানের জন্য সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশ দেওয়া হয় নির্বাচনের আপিল বোর্ডকে। তারা তদন্ত শেষে জায়েদ খানের প্রার্থীতা বাতিল করে এবং নিপুণকে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাধারণ সম্পাদক পদে জয়ী ঘোষণা করে।
এরপর জায়েদ খান আদালতের রিট করেন। সেই রিটের বিপরীতে আবার নিপুণ আপিল করেন। সবমিলে পদটি নিয়ে আইনি জটিলতা দেখা দেয়।
আরআইজে